খেতেই নষ্ট হচ্ছে ৫০ হেক্টর জমির বেগুন গাছ

প্রকাশ : ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  পার্বতীপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলায় রবি মৌসুমের শুরুতেই ৫০ হেক্টর জমির বেগুনগাছের পাতা হলুদ হয়ে শেকড় পচে মরে যাচ্ছে। আক্রান্ত বেগুন খেত রক্ষা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন বেগুন চাষিরা। লোকসানের মুখে পড়ছেন অর্ধশতাধিক কৃষক। বেগুনগাছে ওষুধ দিয়ে রোগ নিরাময় করা যাচ্ছে না।

ফলে এক গাছ থেকে অন্য গাছ যাতে আক্রান্ত না হয় সে জন্য আক্রান্ত গাছগুলো ক্ষেত থেকে উপড়ে ফেলে দিচ্ছেন কৃষকরা। পার্বতীপুর উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি রবি মৌসুমে এ উপজেলায় পার্পল কিং ৪৩ হেক্টর, শিংনাথ ১২ হেক্টর, গ্রিন বল ৯ হেক্টর ও স্থানীয় উন্নত জাত ৮ হেক্টর নিয়ে মোট ৭২ হেক্টর জমিতে বেগুন চাষ করেছেন কৃষকরা।

মোমিনপুর ইউনিয়নের পূর্ব ম্যাড়েয়ার বেগুন চাষি সাজিদুর রহমান জানান, প্রথম দিক থেকে বেগুনগাছ বেশ হৃষ্টপুষ্ট ছিল। কিন্তু কিছুদিন পরেই গাছের পাতা হলুদ হয়ে গাছ দু-একটি করে মরে যেতে শুরু করে। শেকড় পচে যায়। ফলে উপড়ে ফেলতে হচ্ছে গাছগুলো। বেগুন ক্ষেত গাছ শূন্য হয়ে পড়েছে। এ রোগ থেকে রক্ষা পেতে ৪-৫ বার ওষুধ স্প্রে করেও গাছ রক্ষা করা যাচ্ছে না। অথচ প্রতিবার ওষুধ স্প্রে করতে খরচ হয়েছে ৪০০-৫০০ টাকা। তিন বিঘা জমিতে পুটকি বেগুন চাষে তার প্রায় ৬০ হাজার টাকা ক্ষতি হয়েছে। তিনি ছাড়াও এই এলাকার বেগুন চাষ করে প্রায় ৫০ জন কৃষক লোকসানে পড়েছেন।

উপজেলার মোমিনপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ ম্যারেড়া গ্রামের বেগুন চাষি নজরুল ইসলাম বলেন, ৬০ শতক জমিতে বেগুন চাষ করেছি। গাছ বড় হওয়ার পরপরই গাছের মাথা শুকিয়ে গোড়া পচে দু-একদিনেই মরে যাচ্ছে। বেগুন আবাদের ৩০ হাজার টাকাই লোকসানে গেছে। পার্বতীপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রাজিব হোসাইন বলেন, জমির বেগুন গাছগুলো প্রথম দিকে তরতাজা হয়ে উঠলেও বর্তমানে কৃষকের ক্ষেতের বেগুনগাছের পাতা হলুদ হয়ে মরে যাচ্ছে। বহু কৃষক বেগুন চাষে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তবে, কৃষকরা পটোল, আলু ও অন্যান্য সাথী ফসল দিয়ে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে চেষ্টা করছেন।