ঢাকা ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

আজ নেত্রকোণা মুক্ত দিবস

আজ নেত্রকোণা মুক্ত দিবস

আজ নেত্রকোণা হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের ৯ ডিসেম্বর সম্মুখ লড়াইয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে বিজয় ছিনিয়ে নেয় বীর মুক্তিযোদ্ধারা। মুক্ত হয় নেত্রকোণা। জানা যায়, মুক্তিযুদ্ধকালীন ৯ মাসই নেত্রকোণা শহরে ছিল পাকবাহিনীর ঘাঁটি। দালাল-রাজাকারদের সহযোগিতায় শক্ত অবস্থান গড়ে তুলেছিল তারা। ৮ ডিসেম্বর রাত থেকেই মুক্তিবাহিনীর কোম্পানি কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা আবু সিদ্দিক আহমেদের নেতৃত্বে অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধারা পাকবাহিনীকে টার্গেট করে শহরের কৃষিফার্ম এলাকায় অবস্থান গ্রহণ করেন। তাদের অবস্থান টের পেয়ে ৯ ডিসেম্বর সকালে ময়মনসিংহের পথ ধরে পালাতে শুরু করে পাকিস্তানী বাহিনী। ঠিক এমন সময় গর্জে ওঠে মুক্তিসেনাদের আগ্নেয়াস্ত্র। পাকসেনারাও পাল্টা গুলি চালায়। শুরু হয় সম্মুখ যুদ্ধ। মুক্তিযোদ্ধাদের শক্ত প্রতিরোধের মুখে পাক সেনারা এক পর্যায়ে ছত্রভঙ্গ হয়ে ময়মনসিংহের দিকে পালিয়ে যায়। মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার হায়দার জাহান চৌধুরী বলেন, শহরের কৃষিখামার এলাকায় হানাদার বাহিনী অবস্থান নিয়েছে জানতে পেরে তিন দিক থেকে আক্রমণ করে মুক্তিযোদ্ধারা। ওই সময় সম্মুখ যুদ্ধে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন আবু খাঁ, আব্দুর রশীদ ও সাত্তার নামে তিনজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তখন আক্রমণ আরো জোড়ালো হয়। এক সময় পিছু হটে পাকিস্তানি বাহিনী। ঠিক তখনই বিজয়ের পতাকা ওড়ানো হয় নেত্রকোণা শহরে। প্রতিবছর নেত্রকোণাবাসী খুবই গুরুত্বের সঙ্গে তাদের মুক্তদিবস উদযাপন করে আসছে। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে অন্যান্য বছরের মতো এবারও জেলা প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নেত্রকোণা জেলা ইউনিট কমান্ডের পক্ষ হতে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে স্থানীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে স্বাধীনতার বীর সেনানীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন, জাতীয় ও মুক্তিযোদ্ধের পতাকা উত্তোলন, শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা। শহরের পাবলিক হলে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত