ঢাকা ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

শীতে কাঁপছে লালমনিরহাটের মানুষ

শীতে কাঁপছে লালমনিরহাটের মানুষ

কয়েকদিন থেকে তীব্র শীতের সঙ্গে হিমেল হাওয়া বইছে সর্ব উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা লালমনিরহাটে। এ শীতে সবচেয়ে বেশি কষ্টে জীবন-যাপন করছে জেলার বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নেয়া ছিন্নমূল ও দিন মজুর শ্রেণির হাজার হাজার মানুষ।

শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে সরকারি সাহায্য সহযোগিতার পাশাপাশি সমাজের বৃত্তবানদের এগিয়ে আসার প্রত্যাশা ভুক্তভোগী অসহায় মানুষজনদের। এ মাসের শুরু থেকে ঘন কুয়াশা আর ঠান্ডা বাতাশে সীমান্তবর্তী লালমনিরহাটে শীতের তীব্রতা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। ফলে জেলাবাসীরা শীতে কাঁপছে। তবে এবারের শীতের শুরুতে সব চেয়ে কাবু হয়ে পড়েছে ছিন্নমূল, তিস্তা-ধরলা নদীর তীরবর্তী চরাঞ্চলের দরিদ্র্য পরিবার ও দিন মজুর শ্রেণির মানুষেরা। শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে ছিন্নমূল জনগোষ্ঠী, শিশু-বৃদ্ধ ও শ্রমজীবি খেটে খাওয়া মানুষজন। এ সব মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। অন্যদিকে, অস্বাভাবিক ঠান্ডায় জেলার ব্যবসা-বাণিজ্যেও মন্দাভাব দেখা দিয়েছে। ফলে, আয় কমে গেছে দিন মুজুরদের। জেলা শহরে ঠান্ডা নিবারণের জন্য পুরাতন কাপড়ের দোকানগুলোতে ক্রেতারা হুমড়ি খেয়ে পড়ছে। দাম বেশি হওয়ায় অনেকেই তা কিনতে পারছে না। সব মিলিয়ে শীত ও হিমেল হাওয়ায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। এদিকে, শীতে বৃদ্ধ-শিশুরা সর্দ্দিজ্বর, আমাশয়, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, এজমাসহ শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। অন্যান্য দিনের তুলনায় রাতে রাস্তাঘাটে স্বল্প পরিমাণে যানবাহন চলাচল করছে। সবমিলে গত এক সপ্তাহে শীতে কাবু করে ফেলেছে জেলাবাসিকে। সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে ঘন কুয়াশায় ঢেকে যায় আকাশ। প্রতিদিন বিকাল থেকে শুরু হয় বৃষ্টির মত শিশির পড়া।

বেশি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘরের বাহিরে যায় না। ফলে, দিন মুজুর ও খেটে খাওয়া মানুষগুলো ঠান্ডায় কাজ কর্ম না করে অলস সময় কাটাচ্ছে ঘরে বসেই। লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলায় অবস্থিত দেশের তৃতীয় বৃহত্তর স্থলবন্দর বুড়িমারীতে খেটে খাওয়া শ্রমিক শুভন মিয়া, হারুন মিয়া ও আলী আহম্মেদসহ কয়েক শ্রমিকের সঙ্গে কথা হয় তারা বলেন, এবার যে ভাবে ঠান্ডা পড়তেছে তাতে হামরা (আমরা) কাজে যেতে পাড়ছি না। লালমনিরহাট সদরের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. আব্দুল মোকাদ্দেম জানান, হাসপাতালে কয়েকদিন থেকে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীদের সংখ্যা বাড়তেছে। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি রোগীদের সেবা দিতে। লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক এইচএম রকিব হায়দার বলেন, প্রতি বছর এই এলাকায় শীতের দাপট অনেকটাই বেশি থাকে। তাই ঠান্ডার কারণে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ছিন্নমূল মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত