কিছুতেই থামছেনা বালু দস্যুরা। ফেনীর পরশুরামে মুহুরি নদীতে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে চল্লিশটি ড্রেজার মেশিন জব্দ করা হয়েছে। অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রির উদ্দেশে নদীর পাড়ে মজুদকৃত ১০ লাখ ফুট বালু জব্দ করা হয়।
গতকাল সোমবার পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফুর রহমান’র নেতৃত্বে বিজিবি ও পুলিশের বিশেষ অভিযানে ড্রেজার মেশিন ও বালু জব্দ করা হয়। গতকাল সোমবার সকাল ১১টা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত কাউতলী জিরো পয়েন্ট, বিলোনিয়া ও নিজ কালিকাপুর এর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ড্রেজার (বালু উত্তোলনের যন্ত্র) ও বালুর জব্দ করা হয়। তবে এ ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
অভিযানে টের পেয়ে অবৈধ বালু উত্তোলনকারীরা দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। অভিযানের সময় পরশুরাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি নুরুল হাকিমসহ বিজিবির স্থানীয় কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফুর রহমান বলেন সব জায়গা থেকে জব্দকৃত ড্রেজার একত্রিত করে গণনা করে ফাইনালি বলা হবে। এখন পর্যন্ত কয়টি ড্রেজার জব্দ করা হয়েছে তা সঠিক সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়নি।
জব্দকৃত ড্রেজার ও বালুর বিষয়ে কি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে এ বিষয় জানতে চাইলে ইউএনও বলেন এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়নি যেহেতু অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের সাথে জড়িত কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি তাই জেল জরিমান সুযোগ নেই। সিদ্ধান্ত নিয়ে পরবর্তীতে জানানো হবে। আওয়ামী লীগের আমলে অবৈধ বালু উত্তোলন হতো মিরু চৌধুরীর নামে আর এখন বালু উত্তোলন হচ্ছে ইমাম হোসেন সজীবের নামের বিএনপি নেতা।
পরশুরামের মুহুরীসহ তিনটি নদীতে গত ১৫ বছর ধরে বালু উত্তোলনে জড়িত ছিল আওয়ামী লীগ নেতারা। মুহুরী নদীর একটি অংশ ‘শাপলা ট্রেডার্স নামে ইজারা নিয়ে বাকি সব বালু মহাল থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করেছে। গত ৫ আগস্টে আওয়ামী লীগের বালু উত্তোলনকারীরা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলে নতুন ভাবে বালু উত্তোলনের জন্য চুক্তি করেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘মিশন হেল্প ফাউন্ডেশন’ এর সভাপতি ও সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানির কর্মকর্তা ইমাম হোসেন সজীব। এরপর থেকে মুহুরী কহুয়া ও সিনোনিয়া নদীতে বিএনপি ও জামাতের নেতাকর্মীরা যৌথভাবে অন্তত দুই শতাধিক ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন কার্যক্রম শুরু হয়। ইমাম হোসেন সজীব আগামী এপ্রিল -২০২৫ সাল পর্যন্ত বালু উত্তোলনের জন্য শাপলা ট্রেডার্সের মিরুর সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। ‘শাপলা ট্রেডাস এর স্বত্বাধিকারী আওয়ামী লীগ নেতা মিরু চৌধুরী।