রাঙামাটির নবাগত জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ পাহাড়ী জেলা রাঙামাটির পর্যটন ও শিক্ষার উন্নয়নে গুরুত্বারোপ করে বলেন সাংবাদিকরা জাতির বিবেক ও তথ্যের সোর্স। এ জেলার সার্বিক উন্নয়নে গণমাধ্যম প্রকৃত সংবাদ তুলে ধরে প্রশাসনকে সহযোগিতা করবে বলে আশা করছি। গতকাল মঙ্গলবার রাঙামাটির গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ সব কথা বলেন। তিনি বলেন, টেকনাফ টু সাজেক আকর্ষণীয় টুরিজ্যম জোন হলে এ অঞ্চলের চিত্র পাল্টে যাবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পাহাড়ি অঞ্চলকে পর্যটন সেক্টর হিসেবে গড়ে তুলে অর্থনীতি চাকা সচল রেখেছে।
আমাদের এত সুন্দর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য শুধুমাত্র সঠিক ব্যবস্থাপনা ব্যর্থতার কারণে সম্ভব হয়নি। আমি এই জেলার পর্যটন উন্নয়নে কাজ করতে চাই। ডিসি আরো বলেন, পাহাড়ের শিক্ষা প্রসারে শিক্ষক সংকট বড় চ্যালেঞ্চ। শিক্ষক সংকট দুরীকরণে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হবে। পাহাড়ের দুর্গমতার কারণে শিক্ষার হার খুব একটা সন্তোষজনক নয়। দুর্গম পাহাড়ী স্কুলগুলোতে বোর্ডিং স্কুল কিংবা আবাসিক স্কুল নির্মাণ করা খুব জরুরি। এগুলো নিয়ে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, দেশের উন্নয়কামী ছাত্ররা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছে, বিগত সরকারের স্বৈরাতান্ত্রিক মনোভাব, নানা অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে পরিবর্তন প্রয়োজন ছিল।
দেশকে নতুনভাবে গঠনে নতুন নতুন পরিকল্পনায় সবার সহযোগিতায় এগিয়ে নিতে হবে। মতবিনিময় সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রুহুল আমিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) নাসরীন সুলতানা, রাঙামাটি প্রেসক্লাব সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন রুবেল, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আল হক, রিপোটার্স ইউনিটির সভাপতি সুশীল প্রসাদ চাকমাসহ রাঙামাটি জেলার গনমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।