ঢাকা ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

মেঘনায় বালু উত্তোলন বিলীন কৃষিজমি

মেঘনায় বালু উত্তোলন বিলীন কৃষিজমি

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় মেঘনা নদীতে বালু উত্তোলনে নদীর পাড় ভেঙে হুমকির মুখে পড়েছে কৃষি জমি। নদী তীরবর্তী গ্রাম ও কয়েক শত বিঘা কৃষি জমি ভাঙনের কবল থেকে রক্ষা করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।

গতকাল মঙ্গলবার সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, বেরু মোল্ল কান্দি গ্রামের কৃষকের কয়েক’শ বিঘা জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে আরো প্রায় অর্ধশত বিঘা ফসলি জমি। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গজারিয়া উপজেলার বেরু মোল্লা কান্দি, নয়ানগর, চর রমজানবেগ ও ষোলআনী গ্রাম সংলগ্ন মেঘনা নদীতে বালু মহাল ইজারা দেয়া হয়। ইজারার শর্ত অনুযায়ী নদীর ১২৮ একর এলাকায় বালু উত্তোলন করা যাবে। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ সরকার নির্ধারিত জায়গার বাহিরে গিয়ে নদীর তীর ঘেঁষে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। গত কয়েক মাস ধরে সন্ধ্যার পর এবং ভোরবেলা নদীর তীর ঘেঁষে বালু উত্তোলনের ফলে কয়েক’শ বিঘা জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে প্রায় অর্ধশত বিঘা ফসলি জমি। বেরু মোল্লাকান্দি গ্রামের হাসি বেগম বলেন, সরকার যে জায়গায় বালুমহাল ইজারা দিয়েছে সে জায়গা ছেড়ে রাত হলেই ড্রেজারগুলো তীরে চলে আসে। গত কয়েক মাসে বালু উত্তোলনে অন্তত দুইশ বিঘা কৃষি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। অসংখ্য মানুষ জমি জমা হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে। এ বিষয়ে কথা বললেই এলাকাবাসীকে মারধর করা হয়, এলাকা ছাড়া করে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়। জীবনের ভয়ে কেউ কিছু বলে না। সরকারের কাছে আবেদন এই বালুমহালটি বন্ধ করে দিন’। ষোলআনী গ্রামের বাসিন্দা রবিউল আউয়াল বলেন, আমি আবু তাহের সাহেবের জমি জমা দেখাশোনা করি। আমার জানামতে গত কয়েক মাসে আবু তাহের সাহেবের প্রায় ২৩১ শতাংশ জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কোহিনুর আক্তার বলেন, তারা যদি নদীর পাড়ঘেঁষে বালু উত্তোলন করে থাকে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত