ঢাকা ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

‘অন্তর্র্বর্তী সরকারের বড় সংস্কার হবে সুষ্ঠু নির্বাচন দেয়া’

‘অন্তর্র্বর্তী সরকারের বড় সংস্কার হবে সুষ্ঠু নির্বাচন দেয়া’

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপির) ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক ৫ বারের এমপি ও সাবেক মন্ত্রী কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ বলেছেন, বর্তমানে সবচেয়ে বড় সংস্কার প্রয়োজন হল একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের আয়োজন। অন্যান্য সেক্টরে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এখন সংস্কার করলো, তারপর গণতান্ত্রিক সরকার এসে সেটাকে আরো সংস্কার করবে, সংস্কারের উপরেও সংস্কার আছে। বর্তমান সরকার যদি একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন যদি দিতে পারে এটাই ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি মতবিনিময়কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। কাজী কায়কোবাদ বলেন, ছাত্রজনতার আন্দোলনে শত শত শহীদের রক্তের বিনিময়ে আজ আমরা জালিম স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার অত্যাচার থেকে রক্ষা পেয়েছি। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের যারা জীবিত আছেন তাদেরকে হয়তো নানানভাবে সম্মানিত করা যাবে, সুযোগ সুবিধা দেয়া যাবে।

কিন্তু যারা এ আন্দোলনে শহীদ হলেন তাদের শাহাদাতকে মূল্যায়ন করতে হলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উচিত এমন একটি সুন্দর নির্বাচন উপহার দেয়া।

যে নির্বাচন হবে ইতিহাসের সবচেয়ে সুষ্ঠু অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। যে নির্বাচন বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রশংসনীয় হয়ে থাকবে। অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকারের সামনে এই সুযোগ এখন অপেক্ষা করছে। তিনি বলেন, আমি চাই অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকার এমন নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিক। যেখানে আমরা ৫ জন প্রার্থী থাকলে ৫ জন যেন মিলেমিশে যার যার নির্বাচনি প্রচারণা চালাতে পারি। সবাই সবার প্রতীকে ভোট চাইবে, মিছিল করবে, সমাবেশ করবে কিন্তু কোনো মারপিট হবে না। কারো ভোট কেউ জোর করে সিল মারবে না। রাতের আধারে ভোট চুরি করবে না। তাহলে তো অন্তত শহীদদের এ ত্যাগের কিছুটা মূল্যায়ন হবে। একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে আন্দোলনে শহীদদের আত্মার শান্তি হবে। তাদের পরিবার এটা দেখে শান্তি পাবে যে, স্বজনের প্রাণের বিনিময়ে দেশের মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়েছে। অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকার যেন সব ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে পারে সে জন্য দেশবাসীর নিকট দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেন কাজী কায়কোবাদ।

সাংবাদিকদের উদ্দেশে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, আপনাদের বক্তব্য অনুযায়ী গত ১৭ বছর আপনারা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা পাননি। নিরপেক্ষ সংবাদ করতে গিয়ে সরকারের রোষানলে পড়েছেন। হামলা মামলার শিকার হয়েছেন। অনেক সাংবাদিককে নির্মমভাবে হত্যা করেছে সে সরকার।

আমি এবং আমার দল ক্ষমতায় থাকাকালীন এ মুরাদনগরে আপনারা নির্ভয়ে নির্বিঘ্নে সাংবাদিকতা করেছেন। ৫ আগস্টের পর থেকে আজও আপনারা স্বাধীন।

উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মহিউদ্দিন অঞ্জনের সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক এমকে আই জাবেদের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কামাল উদ্দিন ভুইয়া, আব্দুল আজিজ মোল্লা, নজরুল ইসলাম, সৈয়দ আমজাদ আলী তছু, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সোহেল আহমেদ বাবু, উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুদ রানা, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক অ্যাড. নাছির উদ্দীন আহমেদ, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক আহমেদ বাদশাহ এবং উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক খায়রুল আহসান প্রমুখ।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত