ঢাকা ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি স্থানান্তর সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ

ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি স্থানান্তর সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ

মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কুতুবপুরে পদ্মা সেতুর এক্সপ্রেসওয়ের পাশে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি প্রকল্পটি স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। গতকাল বুধবার উপজেলা অডিটরিয়ামে প্রকল্পটি যাতে স্থানান্তরের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। প্রকল্পটি শিবচরের কুতুবপুর থেকে রাজধানীর পূর্বাচলে স্থানান্তর করার এমন সিদ্ধান্তের কথা শুনে ফুসে উঠেছে শিবচরের সর্বস্তরের মানুষ। হাজী শরিয়তউল্লাহ (রা.)-এর ৭ম পুরুষ হাফেজ মাওলানা হানজালার নেতৃত্বে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা প্রকল্পটি সরানোর সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের জন্য সরকারকে ১০ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছেন। নয়ত কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেয়া হয়। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি প্রকল্পটি আমাদের শিবচরে নির্মাণকাজ চলমান। এরই মধ্যে প্রায় ২৪৮ কোটি টাকা ব্যয় হয়ে গেছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের আশায় অনেকে বিঘায় বিঘায় জমি দিয়েছেন। সবাই স্বপ্ন দেখছেন এখানে একটি মেগা প্রকল্প হবে। কিন্তু শুধুমাত্র সয়েল টেস্টে ত্রুটির মিথ্যা অযুহাত দেখিয়ে এই প্রকল্পটি এখান থেকে স্থানান্তর করে পূর্বাচলে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আমরা এর প্রতিবাদ জানাই।

প্রয়োজনে পদ্মা সেতু এক্সপ্রেসওয়েতে অবস্থান কর্মসূচি দেবো, প্রয়োজনে আমরা প্রাণ দিবো তবুও এই প্রকল্প এখান থেকে কিছুতেই সরাতে দেবো না। প্রকল্পটির সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনাদের ১০ দিনের আলটিমেটাম দেয়া হলো। এই হঠকারিতা সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে। আর না হয় আমরা দুর্বার আন্দোলনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেবো। উল্লেখ্য, পদ্মা সেতু এক্সপ্রেসওয়ের পাশে শিবচরের কুতুবপুরে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে প্রায় ৭০ একর জমির ওপর বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয় ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে প্রায় ২৪৮ কোটি টাকা কাজের জন্য ব্যয় হয়। জমি অধিগ্রহণ করে বিদুৎ সংযোগ, মাটি ভরাট ও পাইলিংয়ের কাজও করা হয়। প্রকল্পে জমিদাতা বেশিরভাগ ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের টাকাও প্রদান করাও হয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত