ঈশ্বরদীতে গণকবর ও বধ্যভূমি সংরক্ষণে নেই উদ্যোগ ঈশ্বরদী উপজেলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অসংখ্য গণকবর ও বধ্যভূমি। স্বাধীনতার ৫৪ বছর কেটে গেলেও বধ্যভূমি সংরক্ষণে নেই কোন উদ্যোগ।
নেই শহীদদের তালিকা, পরিবারগুলো পাইনি শহীদ পরিবারের মর্যাদা। মহান মুক্তিযুদ্ধে ঈশ্বরদীতে ঘটেছে নির্মম নৃশংস হত্যাকাণ্ড। প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার বাঙালিকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। সে সময় প্রায় ২০ হাজারেরও বেশি অবাঙালি (বিহারি) এখানে বাস করতেন। এদের অত্যাচারে সে সময়ে বাঙালিরা শহরে যাতায়াত করতে পারতেন না। শহরে বাঙালি পেলেই ধরে নিয়ে হত্যা করা হতো। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় বিহারীরা ঈশ্বরদী দখলের দুইদিন পর ১৩ই এপ্রিল কর্মকার পাড়ায় চন্দ্রকান্ত পালের পরিবারের উপর হামলা চালায়।
চন্দ্রকান্ত পাল, দুই পুত্র, দুই পুত্রবধূ, ৬ নাতি নাতনি ও একজন দোকান কর্মচারীসহ ১২ জনকে কুপিয়ে হত্যা করে। সবাইকে বাড়ির কুয়ার মধ্যে ফেলে গণ কবর দেয়া হয়। পরিবারের সদস্য মাধব পাল শহীদ পরিবারের মর্যাদার দাবি জানিয়েছেন। মুক্তিযোদ্ধারা জানান, চিহ্নিত বধ্যভূমি ও গণ কবর রয়েছে প্রায় ৩০টি। বধ্যভূমির বাইরেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অসংখ্য গণ কবর। গণ কবর ও বধ্যভূমি গুলো এখন রয়েছে অযত্ন অবহেলা ও দৃষ্টি সীমার বাইরে।
এ সব স্থানে এখন ঘাস ও জঙ্গলে পরিপূর্ণ, পরিণত হয়েছে গোচারণ ভূমিতে। আগামী প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের আত্মত্যাগ সম্পর্কে জানাতে বধ্যভূমিগুলো চিহ্নিত করে স্মৃতিফলক নির্মাণ এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে শহীদ পরিবারের মর্যাদার দাবি জানান তারা।