ঢাকা ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

তীব্র শীতে কর্মজীবীরা বিপাকে

তীব্র শীতে কর্মজীবীরা বিপাকে

উত্তরের হিমেল হাওয়া আর ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে বগুড়ার জনপদ। ক্রমশ তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় বেড়েছে ঘন কুয়াশার সঙ্গে শীতের তীব্রতা। এ অবস্থায় চরম বিপাকে পড়েছে এ অঞ্চলের ছিন্নমূল, খেটে খাওয়া ও নিম্ন আয়ের মানুষ।

গতকাল সকালে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, প্রায় সর্বত্রই কুয়াশাচ্ছন্ন প্রকৃতি। সেই সঙ্গে বইছে হিমেল হাওয়া। আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন কেউ কেউ। এমন অবস্থার মধ্যেও জীবন জীবিকার তাগিদে নিম্ন আয়ের মানুষজন কাজের সন্ধানে বের হচ্ছেন। শীতের পাশাপাশি কুয়াশা বেশি হওয়ায় সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। দূরপাল্লার পরিবহন চলছে দেখা গেছে ধীর গতি।

সড়কের পাশে পড়ে থাকা খড়কুটোয় আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করতে দেখা গেছে হতদরিদ্রদের। ঘন কুয়াশার কারণে সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করেছে মোটরসাইকেল, অটোবাইক, ট্রেন ও অন্য যানবাহন। এদিকে তীব্র ঠান্ডায় জমিতে কাজ করতে পারছে না কৃষকরা। সদর উপজেলার কালিবালা গ্রামের কৃষক ছোলায়মান বলেন, ঘন কুয়াশা আর ঠান্ডা হিমেল বাতাসে আলু গাছে সমস্যা দেখা যাচ্ছে। অব্যাহত ঘন কুয়াশা ও রোদ না থাকায় বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে ক্ষেতের সরিষা, আলু। কীটনাশক স্প্রে করে কাজ হচ্ছে না।

একই এলাকার অটোরিকশা চালক নুর ইসলাম জানায়, সকালে রিকশা নিয়ে বের হইছি। এত কুয়াশা পড়েছে যে ১/২ হাত দূরের মানুষকেও দেখা যায় না। রাস্তায় কোন লোকজন নেই। ইনকামও কম বৌ-বাচ্চা নিয়ে ভীষণ বিপদে আছি। তীব্র শীতে দিনমজুর মোয়াজ্জেম হোসেন বলে, এই অগ্রহায়ণ মাসে এত শীত, তাহলে পৌষ ও মাঘ মাসে তো আরো তীব্র শীত পড়বে। আমরা তো কোনো কাজ-কাম করতে পারব না। সংসার চালাবো কেমনে? ভীষণ চিন্তা হচ্ছে। নিম্নমুখী তাপমাত্রার কারণে ঘরের বিছানা, মেঝে ও আসবাবপত্র বরফ হয়ে উঠছে। শীত দূর্ভোগে প্রচন্ড কষ্ট পাচ্ছে শিশু থেকে বয়োজৈষ্ঠ্যরা। শীতের তীব্রতার কারণে বেড়েছে শীতজনিত নানান ব্যাধি। হাসপাতাল, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ক্লিনিকগুলোতে ঘুরে দেখা গেছে জ্বর-সর্দি, কাশি, অ্যাজমা, সাইনোসাইটিস, ইসনোফিলসহ বিভিন্ন শীতজনিত রোগীদের ভিড়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আগের থেকে রোগী বেড়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত