যশোরের কেশবপুরে বিসিক শিল্পনগরী না থাকায় উল্লেখযোগ্য কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠেনি। দীর্ঘ ৪০ বছরেও হয়নি প্রস্তাবিত বিসিক শিল্পনগরী। অনুকূল পরিবেশ, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও এ সংক্রান্ত ফাইল সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের লাল ফিতায় আটকে রয়েছে। শিল্পনগরী গড়ে না ওঠায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কেশবপুরের বিভিন্ন শ্রণিপেশার মানুষ। এখানে ক্ষুদ্র শিল্প থেকে শুরু করে বড় বড় অনেক শিল্প গড়ে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে। এখানকার ব্যবসায়ীদের মধ্যেও আগ্রহ পরিলক্ষিত হয়। কিন্তু এককভাবে ও অনেক ক্ষেত্রে মূলধনের অভাবে এসব শিল্প গড়ে উঠতে অঙ্কুরেই বিনষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ১৯৮৫ সালে বিসিক শিল্পনগরী গড়ার উদ্যোগ নিলে ব্যবসায়ী মহলে প্রাণচাঞ্চল্য দেখা দেয়। এখানে বাঁশ, কাঠ, ঢেঁকি, কামার-কুমার, হস্তচালিত তাঁত, খরগোশ প্রজনন কেন্দ্র, পোল্ট্রি, ডেইরি, ডাক ফার্ম, হোমিওপ্যাথিক শিশি, কর্ক, বোতাম, রঙ, তুলি, ব্রাশ কারখানা, বাঁশ ও বেতের ডেকোরেটিং, ঘানিসহ বহুমুখী শিল্প স্থাপণের আগ্রহ থাকা সত্ত্বেও মাঝারী, ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক ব্যবসায়ীরা কেবলমাত্র পুঁজির অভাবে এসব শিল্প বহুমুখী করতে পারছেন না। অথচ স্বল্প পুঁজি বিনিযোগে এসব শিল্পের সম্প্রসারণ সম্ভব। যার মাধ্যমে হাজার হাজার বেকারের কর্মসংস্থান হতে পারে। এর মধ্যে উপজেলার আলতোপোল গ্রামে বিআরডিবির উদ্যোগে সামাজিক জীবীকায়ন পল্লী স্থপণ করা হয়েছে। যেখানে শত শত মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৪-৮৫ অর্থ বছরে সরকারি উদ্যোগে কেশবপুরকে শিল্পনগরী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে সদস্য সংগ্রহ করা হয়েছিল। জেলা বিসিকের তত্ত্বাবধানে সে সময় প্রতিজনের কাছ থেকে এক হাজার টাকা হারে তিন শতাধিক সদস্য সংগৃহীত হয়েছিল।