ভোলায় কলাগাছ থেকে গো-খাদ্য তৈরি করছে ভোলা জেলার সদর উপজেলার দুই খামারি, নুরুল ইসলাম ও কামাল হোসেন। পুষ্টিগুণসম্পন্ন এ গো-খাদ্য তৈরির উদ্যোগটি গো-খাদ্যের ক্রমবর্ধমান বাজারমূল্য এবং শীতকালে খাবারের স্বল্পতা দূর করার বিকল্প সমাধান হিসেবে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। বর্তমানে গবাদি পশুর খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় অনেক খামারি গবাদি পশু পালনে আগ্রহ হারাচ্ছেন। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় জিজেইউএস নতুন প্রযুক্তির সাহায্যে কলাগাছকে গো-খাদ্য হিসেবে রূপান্তর করছে, যা খামারিদের জন্য লাভজনক ও কার্যকর সমাধান হিসেবে কাজ করছে।
খামারি মো. নুরুল ইসলাম বলেন, এ খাদ্য তৈরিতে মূলত কলাগাছ, চিটাগুড়, ভূষি ও লবণ ব্যবহার করা হয়। কলাগাছের কাণ্ডে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পানি, আঁশ এবং খনিজ উপাদান, বিশেষ করে পটাশিয়াম। যা গবাদি পশুর স্বাস্থ্য রক্ষায় অত্যন্ত সহায়ক। এ ধরনের পুষ্টি সমৃদ্ধ খাদ্য গবাদি পশুর হজমশক্তি উন্নত করে এবং দুধ ও মাংস উৎপাদন বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, এটি প্রাকৃতিক খাদ্য হওয়ায় গবাদি পশুর জন্য নিরাপদ এবং কৃত্রিম খাদ্যের মতো কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।
খামারিরা এ নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে গো-খাদ্যের উৎপাদন খরচ কমিয়ে তাদের গবাদি পশু পালনের কার্যক্রমকে আরও লাভজনক করতে সক্ষম হচ্ছেন। বিশেষ করে শীতকালে, যখন প্রাকৃতিক খাবারের সংকট দেখা দেয়, তখন এই পুষ্টিকর গো-খাদ্য একটি কার্যকর বিকল্প হিসেবে ব্যবহারযোগ্য হয়ে উঠেছে।
এ উদ্যোগের মাধ্যমে গবাদি পশু পালনকারীরা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন এবং দেশের নিরাপদ মাংস ও দুগ্ধ উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন। এ ধরনের পদক্ষেপ স্থানীয় খামারিদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি করেছে এবং কৃষি ও প্রাণিসম্পদ খাতে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছে। এব্যাপারে গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থার উপ-পরিচালক ডা. খলিলুর রহমান বলেন, এ পদ্ধতি ব্যবহার করলে ঘাস সংকটের সময় প্রাণীদের খাদ্যের কোন সংকট হবে না। এটা প্রাণিদের জন্য শতভাগ স্বাস্থ্য সম্মত খাবার। সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, এটি প্রাকৃতিক খাদ্য হওয়ায় গবাদি পশুর জন্য নিরাপদ এবং কৃত্রিম খাদ্যের মতো কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। এ ধরনের পুষ্টি সমৃদ্ধ খাদ্য গবাদি পশুর হজমশক্তি উন্নত করে এবং দুধ ও মাংস উৎপাদন বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।