সিরাজগঞ্জে শয্যভান্ডার এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে খিরার বাম্পার ফলন হয়েছে। এর মধ্যেই এ খিরা বিভিন্ন হাট-বাজারে বিক্রি হচ্ছে। দাম ভালো থাকায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সিরাজগঞ্জে এবার খিরা চাষাবাদে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল প্রায় ২৫১ হেক্টর জমিতে। এ লাভজনক চাষাবাদে কৃষকেরা এবার এ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। শষ্যভান্ডার খ্যাত সিরাজগঞ্জের চলনবিল এলাকার তাড়াশ, রায়গঞ্জ, উল্লাপাড়া ও শাহজাদপুর উপজেলায় এ চাষাবাদ বেশি হয়েছে। এছাড়া যমুনা নদীর তীরবর্তী চরাঞ্চলসহ অনান্য উপজেলায়ও এ খিরা চাষাবাদ হয়েছে। স্থানীয় কৃষকেরা বলছেন, এবারো দেশীয় ও হাইব্রিড দুই জাতের খিরা ফসলের আবাদ করা হয়েছে। শয্যভান্ডার খ্যাত উল্লাপাড়া এলাকার বর্ধনগাছা, হাটিকুমরুল ও তাড়াশ উপজেলার বেশ কয়েকটি স্থানে খিরা আড়ৎে গিয়ে দেখা গেছে অনেক পাইকারি ব্যবসায়ী কৃষকদের কাছ থেকে খিরা কিনছেন।
কৃষকরা ভ্যান, ট্রলি ছাড়াও নানা বাহনে বস্তা ভর্তি খিরা আনছেন। শীতের আমেজ শুরুতেই স্থানীয় হাট-বাজারে এ খিরা কৃষকেরা ৩০ টাকা কেজি বিক্রি করছে এবং এলাকায় পাইকারী ব্যবসায়ীরা প্রতিমণ খিরা ১ হাজার থেকে ১১০০ টাকায় ক্রয় করে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করছে এবং বিশেষ করে ইতিমধ্যেই শয্যভান্ডার এলাকায় খিরার আড়ৎ স্থাপন করা হয়েছে। এ আড়ৎ থেকেও ট্রাক ট্রাক খিরা সরবরাহ হচ্ছে। তবে প্রথম দিকে দেড় হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি করা হয়েছে। তবে কয়েকদিন ধরে খিরার বাজার কিছুটা হ্রাস পেলেও এখনও লাভজনক রয়েছে। এ বিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক আঃ জাঃ মুঃ আহসান শহীদ সরকার বলেন, খিরা চাষাবাদে কৃষকদের সংশ্লিষ্ট কৃষি বিভাগ পরামর্শসহ সব ধরনের সহযোগিতা দেয়া হয়েছে। গত বছরের চেয়ে এবার সিরাজগঞ্জের শয্যভান্ডার খ্যাত এলাকাসহ চরাঞ্চলেও খিরা ফসল চাষাবাদে বাম্পার ফলন হয়েছে। বাজারে দাম ভালো থাকায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।