বগুড়া মসলা গবেষণা কেন্দ্রে উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল বারি পেঁয়াজ জাতের ৭ লাখ চারা বিনামূল্যে কৃষকদের মাঝে বিতরণ শুরু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার শিবগঞ্জ মসলা গবেষণা কেন্দ্রে এসব চারা বিতরণের উদ্বোধন করেন মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. জুলফিকার হায়দার প্রধান। এসময় প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. নুর আলম চৌধুরী, ড. মো. কামরুল হাসান, ড. মাসুদ আলম, ড. আশিকুল ইসলাম, ড. মাহমুদুল হাসান সুজা উপস্থিত ছিলেন। প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. নুর আলম চৌধুরী জানান, পার্টনার প্রকল্পের মাধ্যমে এ চারা উৎপাদন ও বিতরণ করা হচ্ছে। প্রতি বিঘায় ৩৫ থেকে ৪০ হাজার পিস চারা লাগে। ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা খরচে ১০০ থেকে ১২০ মন পর্যন্ত ফলন পাওয়া যায়। রোগবালাই ও ফুলকা কম হয়। এছাড়া দোকুশি পেঁয়াজ কম হয়। চলতি মৌসুমে কোকোপিটের মাধ্যমে শীতকালীন বারি পেঁয়াজ ৪, ৬ ও ৭ জাতের ১০ লাখ চারা উৎপাদন করেছে মসলা গবেষণা কেন্দ্র। এরমধ্যে বিভিন্ন এলাকার কৃষকদের মাঝে ৭ লাখ চারা বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে। চারা রোপণের চার মাসের মধ্যে পেঁয়াজ উত্তোলন করা যাবে। তিনি আরো জানান, চলতি মৌসুমে কোকোপিটের মাধ্যমে শীতকালীন বারি পেঁয়াজ ৪, ৬ ও ৭ জাতের ১০ লাখ চারা উৎপাদন করেছে মসলা গবেষণা কেন্দ্র। কোকোপিটে বীজ বপন করার ৩৫ থেকে ৪০ দিনের মধ্যে চারা রোপণের উপযোগী হয়ে উঠে। এরমধ্যে বিভিন্ন এলাকার কৃষকদের মাঝে ৭ লাখ চারা বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে।