কক্সবাজারের টেকনাফে ‘বাংলা চ্যানেল’ পাড়ি দেয়ার উদ্দেশে সাঁতারে নামার অপেক্ষায় রাঙামাটি দুই কিশোরসহ ৪৭ জন। এর মধ্যে একজন নারীও রয়েছেন। আজ রোববার সকাল ৯টায় টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপের পশ্চিমপাড়া সমুদ্রসৈকত থেকে তারা সাঁতার শুরু করবেন। কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথে স্রোতোধারাটির নাম ‘বাংলা চ্যানেল’। এই চ্যানেলের দূরত্ব ১৬ দশমিক ১ কিলোমিটার। সাঁতার শেষ হবে সেন্টমার্টিন দ্বীপের উত্তর সৈকতে। রাঙামাটি জেলার নানিয়ারচর উপজেলার জয়তু দাশ ও লংগদু উপজেলার হাফিজুর রহমান দীর্ঘ অথচ কঠিন এই বাংলা চ্যানেল সাঁতারে অংশ নিচ্ছে। দুঃসাহসিক এই যাত্রায় রাঙামাটি জেলা ক্রীড়া অফিসার এসআইএম ফেরদৌউস আলমের উৎসাহ ও দিক নির্দেশনায় এই দুই সাঁতারু বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেয়ার সাহস খুঁজে পেয়েছে। এরআগে চলতি বছরের ১৬ নভেম্বর রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদের সুবলং চ্যানেলে মোট সাড়ে ১৩ কিলোমিটার পথ সাঁতরে পাড়ি দেন তারা।
বরাবরের মত এবারও এই সাঁতারের আয়োজন করছে ‘ষড়জ অ্যাডভেঞ্চার’। আয়োজনের নাম দেয়া হয়েছে ‘২০তম বাংলা চ্যানেল সাঁতার-২০২৪। সাঁতারে অংশ নিচ্ছে সারাদেশের ৪৭ জন সাঁতারু। গত শুক্র ও শনিবার শাহপরীর দ্বীপ সমুদ্রসৈকতে সাঁতারুরা দল বেধে অনুশীলন করেন। রাঙামাটি জেলা ক্রীড়া অফিসার এসআইএম ফেরদৌউস আলম বলেন, আমি রাঙামাটিতে যোগদান করার পর জেনেছি, কাপ্তাই হ্রদে সাঁতার নিয়ে অনেকের মাঝে ভয় কাজ করে। এরপর থেকেই স্থানীয় পর্যায়ে সাঁতারকে জনপ্রিয় করার জন্য নানাভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমরা সুবলং চ্যানেল পাড়ি দিয়েছি। এবার বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিতে যাচ্ছি।
রাঙামাটির দুই কিশোর জয়তু দাশ ও হাফিজুর রহমান এতে অংশ নিচ্ছে। এদের অংশগ্রহণ দেখে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম উৎসাহ পাবে। সাঁতারভীতি দুর হবে। সাঁতারের প্রতি আগ্রহ বাড়বে। আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, এই সাঁতার আন্তর্জাতিক রীতি মেনে পরিচালনা করা হচ্ছে। নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থাও নেয়া হয়েছে। প্রত্যেক সাঁতারুর জন্য বোট ও উদ্ধারকর্মী আছেন। ধারাবাহিকভাবে এই নৌপথে সাঁতার হচ্ছে।