বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির অধ্যাপক মজিবুর রহমান বলেছেন, আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার ভোট দিতেও দেইনি সাধারণ জনগণকে। কথায় আছে আমার ভোট আমি দিবো, যাকে খুশি তাকে দিবো। কিন্তু তাদের কথা হচ্ছে আমার ভোট আমি এবং অপরের ভোটও আমি দিবো। মানুষের মাঝে ভোট দেয়ার উৎসাহও নষ্ট করে দিয়েছিলো। তারা জনগণকে ভোটের জায়গায় ভোট দিতে যেতে দেয়নি। গোটা গণতন্ত্রকে কলঙ্কিত করেছে এই আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার। গতকাল শনিবার চাঁদপুর শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সদর উপজেলার আয়োজনে কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ১৭ বছর জালিম ফ্যাসিস্ট সরকারের কারণে বাংলাদেশের মানুষ সবকিছু থেকে বঞ্চিত ছিলো। তারা ভেবেছিলো ২০৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবেন। কিন্তু অপমানিত অবস্থায় ফ্যাসিস্ট সরকার পালিয়ে গেছে। মানুষ এখন শান্তিতে আছে। এক সময় মানুষ কান্নাও করতে পারতে না। নায়েবে আমির বলেন, ঐক্য হচ্ছে শক্তি। সব মুসলমান ভাইদের সাথে ঐক্য করতে হবে। যারা ইসলামী শাসন ব্যবস্থা কায়েম করতে চায়, যারা রাসূল (সা.) তরিকায় চলতে চায়, তাদের সাথে আমরা ঐক্য করতে চাই। ২০২৪ সালের আগস্টের গণঅভ্যুত্থান কোরআন সুন্নাহ আলোকে হয়েছে। জনগণের মনে শহিদি তামান্না চলে এসেছিল। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিলো। তখনো বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন, ভোটের এবং ভাতের অধিকারের আন্দোলন করেছিল। ৭১ সালের স্বাধীন হওয়ার পর বলেছিলো বৈষম্য দূর করে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনবে। কিন্তু কি হলো শেষ পর্যন্ত! বৈষম্যতো দূর হয় নায়, গণতন্ত্রকেও হত্যা করা হয়েছিল। যারা শুধু নিতেই জানে তারাতো বন্ধু হতে পারে না। ভারতের গোলামি করতে করতে দেশকে শেষ করে দিয়েছে।
এখনো তারা জনগণের ভাষাই বুঝতে পারে না। জামায়াতের এই নেতা বলেন, দেশে ভালো কাজ চালু করে মানুষকে শান্তি দিতে হলে, খারাপ কাজ বন্ধ করে মানুষকে নিরাপত্তা দিতে হলে, শুধু দোয়া মাহফিলের আয়োজন করলে চলবে না। বরং আল্লাহর দল তৈরি করেই এগুলি বাস্তবায়ন করতে হবে। চাঁদপুর সদর উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা আফছার উদ্দিন মিয়াজীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চাঁদপুর জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা বিল্লাল হোসেন মিয়াজী, সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট শাহজাহান মিয়া, সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক মাওলানা আবুল হোসাইন, চাঁদপুর শহর জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট শাহজাহান খান, সেক্রেটারি শেখ বেলায়েত হোসেন, ইসলামী ছাত্র শিবির শহর সভাপতি মো. ফারুক হোসেন। সঞ্চালনায় ছিলেন চাঁদপুর সদর উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মুহাম্মদ জোবাইর হোসাইন খান। কর্মী সম্মেলনে জেলা, সদর উপজেলা ও বিভিন্ন ইউনিয়ন জামাতের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।