ঢাকা ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫ পৌষ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

‘পতেঙ্গা সৈকতকে আন্তর্জাতিক মানের করা হবে’

‘পতেঙ্গা সৈকতকে আন্তর্জাতিক মানের করা হবে’

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন পতেঙ্গা সমুদ্র তীরবর্তী এলাকায় আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন শিল্পের বিকাশের জন্য সৌন্দর্য বর্ধন ও অন্যান্য আনুষাঙ্গিক কাজের উদ্বোধন করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। গত বৃহস্পতিবার উদ্বোধন হওয়া চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের এই প্রকল্পের বাস্তবায়নে সহযোগী হবে সিটি কর্পোরেশন ও জেলা প্রশাসন। এরই মধ্যে সৌন্দর্য বর্ধনের অংশ হিসেবে উচ্ছেদ করা হয়েছে ৩৩টি দোকান। নতুন করে দৃষ্টিনন্দন বাতি লাগানোর পাশাপাশি, বাগান ব্লক নির্মাণ, বসার স্থানে নতুন রং, সবুজায়ন এবং পরিচ্ছন্নতাকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। নগরের এই অন্যতম পর্যটন স্পটকে আরো আকর্ষণীয় করতে ও সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে জন্য এরই মধ্যে সৈকতের এক কিলোমিটার এলাকা সাজানো হয়েছে নতুন রূপে। মেয়র বলেন, পতেঙ্গা সী-বিচকে আন্তর্জাতিক মানের ট্যুরিস্ট স্পটে রূপান্তর করতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এবং চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন যৌথভাবে কাজ করছে।

আমরা পুরো বীচ এলাকাকে পরিচ্ছন্ন, আলোকিত, নিরাপদ করতে কাজ করছি। সৈকতের একাংশের সৌন্দর্য বর্ধন দিয়ে শুরু হলেও পর্যায়ক্রমে এটিকে আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন স্পটে রূপ দেয়া হবে। এই স্পটকে নতুন করে সাজাতে এক থেকে দেড় বছর সময় লাগবে। বাংলাদেশের জিডিপি মূলত তিনটি সেক্টরের উপর নির্ভরশীল। চার নাম্বার আরেকটি সেক্টরকে কিন্তু আমরা চট্টগ্রামের মাধ্যমে উঠিয়ে আনতে পারি। সেটা হচ্ছে পর্যটন খাত। যে পর্যটন খাত দিয়ে কিন্তু আমাদের আশেপাশের সার্কভুক্ত সবগুলো দেশ সমৃদ্ধশালী হয়ে গেছে। অথচ এই পর্যটন খাতটাকে কিন্তু আমরা সেভাবে বিকশিত করতে পারিনি। চট্টগ্রামকে ঘিরেই কিন্তু বাংলাদেশের পর্যটনখাত নির্ভরশীল।

কারণ আমরা যদি চট্টগ্রামের পর্যটনখাতের বিকাশ ঘটাতে পারি তাহলে একদিকে দেশের বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আয় হবে, অন্যদিকে স্থানীয় পর্যায়ে ব্যাপক কর্মসংস্থান হবে। চট্টগ্রামের অবকাঠামো যদি আমরা ডেভেলাপ করতে না পারি তাহলে আমরা বাংলাদেশকে বাঁচাতে পারবো না। দেশের অর্থনৈতিক যে একটা চাকা তা সচল করার জন্য চট্টগ্রামকে সুন্দর করতে হবে। এক্ষেত্রে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈতক খুলতে পারে সম্ভাবনার দুয়ার। অর্থনীতির বিকাশের স্বার্থেই চট্টগ্রামের উন্নয়ন প্রয়োজন মন্তব্য করে মেয়র বলেন, চট্টগ্রামের পর্যটন শিল্পটাকে চিন্তা করে আমাদের কাজ করতে হবে। এখানে স্পেশাল ইকোনমিক জোন আছে, এখানে কন্টেইনার ইয়ার্ডগুলো আছে। এখানে আপনার বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির একটা ব্যাপার আছে এবং এখানে ট্রেড সেন্টার আছে। ব্যবসায়িক হাব হিসেবেও কিন্তু চট্টগ্রাম অত্যন্ত পরিচিত। কাজেই সব মিলিয়ে ভৌগোলিক কারণে আজকে চট্টগ্রাম কিন্তু অত্যন্ত ইম্পর্টেন্ট একটা জোনে আছে। সিটি গভর্মেন্ট না থাকায় আমাদের যে লিমিটেশন সেই লিমিটেশনকে জয় করতে হলে আমাদের আন্তরিক হতে হবে। বর্তমানে, চসিক, সিডিএ এবং জেলা প্রশাসনের মধ্যে যে সহযোগিতার মনোভাব আছে তা নিয়ে আমরা চট্টগ্রামের উন্নয়নে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যেতে চাই। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-এর (সিডিএ) চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. নুরুল করিমসহ সিডিএ’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলামসহ চসিকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানমসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত