জাল-জালিয়াতি করে অন্যের জমি দখল, প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ, সন্ত্রাসী গ্রুপের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে হয়রানি, নির্যাতনসহ নানা অভিযোগ বরগুনা সদর উপজেলার লতাকাটা গ্রামের আব্দুল হাই ওরফে দুলালের বিরুদ্ধে। শনিবার রাতে এসব অভিযোগে বরগুনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন এলাকার ভুক্তভোগীরা। সংবাদ সম্মেলনে হাচিনা বেগম নামে এক নারী অভিযোগ করেন, আব্দুল হাই দুলালের কাছ থেকে ২০১২ সালের ১২ মার্চ বায়না সূত্রে এক একর ২ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। পরবর্তীতে নানা কৌশলে আব্দুল হাই টাকা নিলেও নানা কৌশলে জমির কবলা দলিল দেননি।
পরে আদালতের স্বরাণাপন্ন হলে বরগুনার সিনিয়র সহকারী জজ আদালত দাতা হইয়া দলিল রেজিষ্ট্রি করে দেন এবং আমি জমি ভোগ দখল করে আসি। কিন্তু সম্প্রতি আব্দুল হাই আমার বর্গাচাষীকে ওই জমির ধান কাটতে নিষেধ করে এবং ২০১৭ সালের একটি ভুয়া অঙ্গিকারনামা প্রকাশ করে জমির মালিকানা দাবি করেন। মূলত অঙ্গিকারনামায় আমি কোন সই স্বাক্ষর করিনি। এ ব্যাপারে গত ১৫ ডিসেম্বর বরগুনার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এ আব্দুল হাই দুলাল এর জাল-জালিয়াতির বিচার চেয়ে একটি মামলা করেন হাচিনা বেগম।
ওই আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে বরগুনা থানাকে এজাহারের নির্দেশ দেন। এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের দক্ষিণ পাতাকাটা গ্রামের আবুল কালাম গাজী নামের এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, ২০১৬ সালের ১৩ মার্চ আব্দুল হাই দুলাল এক একর ৬০ শতাংশ জমি ঠিকা পাট্টা হিসেবে বন্দোক রাখার শর্তে একলাখ ৩০ হাজার টাকা নেন। কিন্তু এরপর দুলাল পেশি শক্তি এবং ছেলে ও ছেলের বৌ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হওয়ায় ওই জমি ভোগ দখলে দেয়নি। ওই জমি অথবা জমির টাকা দুলালের কাছে চাইতে গেলে মিথ্যা মামলায় জড়ানোর হুমকি দেন। অভিযুক্ত আব্দুল হাই দুলাল সকল অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে বলেন, তারা আমার কিছু প্রতিপক্ষের পরামর্শে এসব অভিযোগ করছেন। তাছাড়া এ জমিজমা এবং জালজালিয়াতির বিষয়ে যেহেতু আদালতে মামলা চলমান, তাই আদালতে সবকিছু ফয়সালা হবে।