অবিভক্ত বাংলা ও আসামের শিক্ষা বিভাগের সহকারী পরিচালক, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, শিক্ষা ও সমাজ সংস্কারক, সাহিত্যিক, দার্শনিক, সুফি-সাধক, ‘স্রষ্টার এবাদত ও সৃষ্টের সেবা’ এই মহান ব্রতকে সামনে রেখে নলতা কেন্দ্রীয় আহ্ছানিয়া মিশনসহ অসংখ্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার নেপথ্যের কারিগর, মুসলিম রেনেসাঁর অগ্রদূত, পীরে কামেল সুলতানুল আউলিয়া হজরত শাহ্ছুফী আলহাজ্জ খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা (র.) এর ৬১তম (৩ দিনব্যাপী) বার্ষিক ওরছ শরীফ আগামী ২৬, ২৭ ও ২৮ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ এবং ৯, ১০ ও ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ খিস্টাব্দ, রোজ- রবি, সোম ও মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত ওরছ শরীফকে কেন্দ্র করে গতকাল নলতা পাক রওজা শরীফ প্রাঙ্গণে পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত পরামর্শ সভায় নলতা কেন্দ্রীয় আহ্ছানিয়া মিশনের কর্মকর্তা শিক্ষক আলহাজ্ব আবুল ফজলের সঞ্চালনায় নলতা কেন্দ্রীয় আহ্ছানিয়া মিশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডা. আফতাবুজ্জামানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি উপস্থিত ছিলেন- ইরানী কালচার সেন্টারের কর্মকর্তা, বিশিষ্ট লেখক ও গভেষক ড. মো. জহির উদ্দীন, নলতা কেন্দ্রীয় আহ্ছানিয়া মিশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী আলী আযম, সহ-সভাপতি আলহাজ মো. সাইদুর রহমান, গাজীপুর আহ্ছানিয়া মিশনের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ সনোয়ার হোসেন, পাক রওজা শরীফের খাদেম আলহাজ মো. আ. রাজ্জাক, নলতা এএমআর কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোহাম্মাদ আব্দুল্লাহ, আহছানিয়া মিশনের কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বাচ্চু প্রমুখ। পরামর্শ সভায় আলোচলা পেশ করেন, নলতা আহছানিয়া মিশন দারুল উলুম ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা রমিজ উদ্দীন, হাফেজ হাবিবুর রহমান, আহছানিয়া মিশনের সহ-সম্পাদক আলহাজ মো. মালেকুজ্জামান ও ডা. নজরুল ইসলামসহ পির সাহেবের আওলাদসহ উপস্থিতি ছিলেন দেশের বিভিন্ন জেলার আহ্ছানিয়া মিশনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সদস্য, এলাকার আমন্ত্রিত দানবীররা। সভায় অনুষ্ঠানের ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় সব আহ্ছানিয়া শাখা মিশনসহ শুভাকাঙ্ক্ষীদের যার যার অবস্থান থেকে বেশি বেশি সহযোগিতার আহ্বান এবং ওরছ শরীফ চলাকালীন অবস্থানরত মেহমানদের আবাসন তথা খাওয়ার মান উন্নত করতে নতুন পদ্ধতি চালু করাসহ নানা পরিকল্পনার কথা জানান সভাপতি ডা. আফতাবুজ্জামান।