শেরপুর জেলার সদর উপজেলার ভাতশালা শেরপুর টু নকলা মহাসড়কে পিটিটিআই ট্রেনিং অফিসের সম্মুখে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় বাসচালক সুমনকে রাজধানী ঢাকার উত্তর পূর্ব থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর এবং র্যাব-০১, সিপিসি-২, উত্তরা, ঢাকা। র্যাব-১৪, সিপিসি-১ মিডিয়া অফিসার ও সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. নাজমুল ইসলাম গতকাল মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
সুমন জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলার দিঘীরচর গ্রামের আব্দুল মোতালেবের ছেলে। গত রোববার সকাল অনুমান ১১টা ১৫ মিনিটে শেরপুর জেলার সদর উপজেলার ভাতশালা শেরপুর টু নকলা মহাসড়কে সিএনজি ও বাসের মুখোমুখি মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়। একটি সিএনজি অটোরিকশা শেরপুর-নকলা মহাসড়কে পিটিটিআই ট্রেনিং অফিসের সামনে পৌঁছামাত্র বিপরীত দিক থেকে আসা ঢাকাগামী (রিফাত পরিবহন) নামক বাসের চালক দ্রুত ও বেপরোয়া গতিতে সজোরে সিএনজি গাড়িকে ধাক্কা দেয়।
এতে ঘটনাস্থলে ছয়জন নিহত হন। সে সময় স্থানীয় লোকজন বাসটিকে আটক করলেও ঘাতক চালক কৌশলে পালিয়ে যায়।
এঘটনায় নিহত সিএনজি চালকের ছেলে জিহাদ মিয়া বাদী হয়ে শেরপুর সদর থানায় সড়ক পরিবহন আইনে মামলা করেন।
পরে র্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর ক্যাম্প ও র্যাব-১, সিপিসি-২, উত্তরা ক্যাম্পের যৌথ আভিযানিক দল ৩০ ডিসেম্বর সোমবার রাতে রাজধানী ঢাকার (ডিএমপি) উত্তর পূর্ব থানাধীন ৮নং সেক্টর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ঘাতক বাস চালক আসামি সুমনকে গ্রেপ্তার করে। র্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর কোম্পানির কোম্পানি কমান্ডার মেজর আব্দুর রাজ্জাক বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করার পর পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুমনকে শেরপুর সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
