ঢাকা ০৪ জানুয়ারি ২০২৫, ২০ পৌষ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কুষ্টিয়ায় শেষ হলো ক্র্যাক আন্তর্জাতিক আর্ট ক্যাম্প

কুষ্টিয়ায় শেষ হলো ক্র্যাক আন্তর্জাতিক আর্ট ক্যাম্প

কনোনিয়াল জ্ঞানের বাইরে আমাদের নিজস্ব জ্ঞান খোঁজা ও চর্চাকে কেন্দ্র করে কুষ্টিয়ায় শেষ হল তিনদিনব্যাপী আন্তর্জাতিক ক্র্যাক আর্ট ক্যাম্পের ১৮তম আন্তর্জাতিক আসরের। কুষ্টিয়া শহরের পাশে রহিমপুরের স্মরণ মৎস্যবীজ খামারে ২৫ ডিসেম্বরের থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলে আন্তর্জাতিক ক্র্যাক আর্ট ক্যাম্পে। এবারের শিল্পের ১৮তম আন্তর্জাতিক আসরে যোগ দিয়েছিলেন দেশি-বিদেশি ৩০ জন শিল্পী। যুক্তরাষ্ট্র,অস্ট্রিয়া, আর্জেন্টিনা, তুরস্ক, ভারত নেপাল, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের শিল্পীরা যোগ দিয়েছিলেন এবারের আয়োজনে।

গত সোমবার ছিল এই আয়োজনের শেষ দিন। ক্র্যাক আন্তর্জাতিক এই মাল্টিডিসিপ্লিনারি আর্ট ক্যাম্পে উপস্থিত ছিলেন চারু ও সংগীত শিল্পী কনক আদিত্য। গুণী এই শিল্পী তার বক্তব্যে বলেন- শিল্প সৃষ্টির ক্ষেত্রে ভৌগোলিক কোনো সীমারেখা নেই। ফলে আমরা পৃথিবীর সব দেশের শিল্পীদের স্বাগত জানাই। কনোনিয়াল জ্ঞানের বাইরে আমাদের নিজস্ব জ্ঞান খোঁজা ও চর্চার জন্যই এ আর্ট ক্যাম্পের যাত্রা। আয়োজকদের সঙ্গে কথা বলে, শিল্পী ও গবেষক শাওন আকন্দ কুষ্টিয়ার শিল্পী দেলোয়ার হোসেনের সহায়তায় এ আর্ট ক্যাম্প শুরু করেছিলেন।

সেই ২০০৭ সাল থেকে শুর হয় এ আর্ট ক্যাম্পের যাত্রা। ২০১০ সাল থেকে এটি দেশের গন্ডি পেরিয়ে হয়ে ওঠে আন্তর্জাতিক। এ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, আফগানিস্তান, নেদারল্যান্ডসসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শতাধিক শিল্পী অংশ নিয়েছেন এই আন্তর্জাতিক আর্ট ক্যাম্পে। প্রতিবছর ডিসেম্বরের ২৫ থেকে ৩০ তারিখ কুষ্টিয়ায় অনুষ্ঠিত হয় এই আন্তর্জাতিক আসর। প্রতিবছর একজন কিউরেটরের নেতৃত্বে এটি পরিচালিত হয়। এবারের কিউরেটর ছিলেন পাকিস্তানের শিল্পী ইমরান নাফিস সিদ্দিকী। তিনি বলেন, ‘বারো বছর আগে প্রথম এ ক্যাম্পে এসে যে পরিবেশের মুখোমুখি হয়েছিলাম এবারও তার ব্যতিক্রম নেই। সেই সুর একই আছে। এই আর্ট ক্যাম্প যেমন আছে তেমনি থাকা জরুরি। শুধু প্রতি বছরের কার্যক্রমে বৈচিত্র্য আনা যেতে পারে। ক্যাম্পে স্থানীয় উপকরণ ব্যবহার করে শিল্পীরা তৈরি করেছিলেন ইনস্টলেশন আর্ট। সঙ্গে ছিল বিভিন্ন থিমের একক ও যৌথ পরিবেশনা। এবারের থিম ছিল ‘মানুষের বাইরের শত্রু থেকে ভিতরের শত্রু বেশি ভয়ংকর। ক্র্যাক আর্ট ক্যাম্পেরসহ উদ্যোক্তা শাওন আকন্দ জানান, ‘বাউল দর্শনের যে সহজিয়া ভাব, সমন্বয়বাদিতা এবং উদারতার জায়গা আছে ক্র্যাক আর্ট ক্যাম্পের জন্ম হয়েছিল সেগুলোকে কেন্দ্র করে। আমরা চেয়েছিলাম করপোরেট পৃথিবীতে আমাদের নিজেদের জ্ঞান অন্বেষণ করতে। এখানে সব শিল্পী স্থানীয় উপকরণে শিল্প নির্মাণ করেন।’ তিনদিনব্যাপী এই অনুষ্ঠান চললেও সমাপনী দিন ক্যাম্পটি সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল বিকাল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত