ঢাকা ০৪ জানুয়ারি ২০২৫, ২০ পৌষ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কেশর আলু চাষে লাভবান কৃষক

কেশর আলু চাষে লাভবান কৃষক

কেউ দা দিয়ে গাছ কেটে খেত থেকে সরিয়ে রাখছেন। আবার কেউ কোদাল দিয়ে মাটি খুঁড়ে বের করছেন কেশর আলু। জমিতে সারি সারি ভাবে রাখা হয়েছে কেশর এই আলু। আবার মহিলারা ওই কেশর আলুর অপ্রয়োজনীয় অংশ দা দিয়ে কেটে মাটিতে রাখছেন। রোদে হালকা শুকানোর পর মাটি থেকে তুলে পরিষ্কার করে রাখা হচ্ছে নেটের ওপর। এমন দৃশ্য দেখা যাচ্ছে বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার মাদলা গ্রামে মাঠে। কেশর আলু একটি কন্দাল জাতীয় ফসল। প্রচলিত অর্থে এটি ফল না হলেও ফল বা সবজি হিসেবে খাওয়া হয়। এটিতে প্রচুর পরিমাণ পানি, শর্করা ও পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাদ্য। কচকচে পানসে ও হালকা মিষ্টি স্বাদের এই আলু খেতে খুবই সুস্বাদু। যা কাঁচা খাওয়া যায়। বগুড়ায় আগাম জাতের কেশর আলু চাষ করে ভালো ফলন ও দাম পেয়ে খুশি কৃষক। স্থানীয় হাট-বাজার গুলোতে প্রতিমণ কেশর আলু বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকায়। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৫০ টাকায়। বালুর নিচে গুপ্তধনের মতো থোকা থোকা ধরে রয়েছে কেশর আলু। গাছ ধরে টান দিলে গাছের সাথে বালুর নিচ থেকে উঠে আসছে কেশর আলু। কৃষক জালাল বলেন, আমি উপজেলার কৃষি বিভাগের পরামর্শে প্রথম বারের মতো ৬ বিঘা জমিতে কেশর আলু চাষ করেছি। প্রতি বিঘাতে ৫০ থেকে ৬০ মণ কেশর আলু উৎপাদন হয়েছে। প্রতি বিঘাতে খরচ হয়েছে ২০ হাজার টাকা। প্রতি বিঘার কেশর আলু বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ হাজার টাকা। প্রতি বিঘার খরচের চেয়ে দ্বিগুণ লাভ হচ্ছে। কৃষক শহিদুল ইসলাম জানান, এবার অনেক ভালো দামে কেশর বিক্রি করছি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান, কেশর আলু মূলত ফাল্গুন-চৈত্র মাসে তোলা হয়। কিন্তু এবছর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সঠিক পরামর্শে আগাম জাতের কেশর আলু চাষ করে কৃষকরা লাভের মুখ দেখছে।

কৃষি বিভাগে পরামর্শে সঠিক সময় বীজ বপন ও সার প্রয়োগ করায় কেশর আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। এছাড়া এর ব্যাপক চাহিদা থাকায় খেত থেকেই পাইকাররা কেশর আলু কিনে নিয়ে যাচ্ছে। আমাদেরকে কষ্ট করে বিক্রির জন্য হাট বাজারে নিতে হচ্ছে না। ফলন ভালো হওয়ার দ্বিগুন লাভ হচ্ছে। এরপরে আমরা আরো বেশি জমিতে কেশর আলুর চাষ করবো।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত