ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে রাজীব চৌধুরীর দায়িত্ব গ্রহণের পর বদলে যাচ্ছে নবীনগরের চিত্র। প্রশাসন ফিরে পেয়েছে তার প্রাণ। বিভিন্ন দপ্তরে লেগেছে উন্নয়নের ছোঁয়া। জানা যায়, পৌর প্রশাসকের দায়িত্ব নেয়ার পর পাল্টে যাচ্ছে পৌরসভার চিত্র। নবীনগর সদরে যানজট নিরসনে তার ভূমিকা অতুলনীয়। সদরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে আনসার সদস্যরা নিরলসভাবে ট্রাফিকিং চালিয়ে যাচ্ছে। এতে ফিরে এসেছে যানবাহন চলাচলের শৃঙ্খলা ও যাত্রীদের মনে স্বস্তি। বুড়ী নদীকে দূষণ ও দখলমুক্ত করতে চমকপ্রদ উদ্যোগ নিয়েছেন ইউএনও রাজীব চৌধুরী। বাজারের বিভিন্ন দোকানের ও বাসা-বাড়ির ময়লা-আবর্জনা নদীতে ফেলে এক সময়ের স্রোতস্বিনী তিতাস ও বুড়ী নদীকে যেখানে মরা খাল আর ময়লার ভাগাড়ে পরিণত করেছে, সেখানে তিনি পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালিয়ে নদীর নাব্যতা ও দূষণ সুরক্ষা করে যাচ্ছেন। ময়লা ফেলার জন্য নদীর পাড়ের বিভিন্ন পয়েন্টে যুক্ত করেছেন ডাস্টবিন।
তাছাড়া তিতাস পাড়ের ময়লা প্রতিদিন ডাম্পিং স্পটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। শহরকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে ও মানুষকে সচেতন করার তাগিদে চালিয়ে যাচ্ছেন প্রচারণা। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণের পর ফিরে এসেছে শিক্ষার পরিবেশ। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে ফিরে এসেছে আন্তরিকতা। শিক্ষকদের মাঝে দেখা দিয়েছে কর্মচাঞ্চল্য। তাছাড়া ইউএনওর উদ্যোগে শুরু হতে যাচ্ছে ভাষা শেখার ক্লাব। বিশেষ করে মাদ্রাসাতে এরাবিক ল্যাংগুয়েজ ক্লাব। সিএনজির ন্যায্য ভাড়া নির্ধারণে করেছেন গণশুনানি। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে অব্যাহত রেখেছেন বাজার মনিটরিং। কৃষি জমি রক্ষায় অবৈধ ড্রেজারের বিরুদ্ধে চালিয়ে যাচ্ছেন মোবাইলকোর্ট। যে কোনো ধরনের নাগরিক সমস্যার কথা কেউ ফোনে, মেসেঞ্জারে কিংবা হোয়াটসঅ্যাপে অবগত করালেই ছুটে যান সেই সমস্যা সমাধানে। এভাবেই তিনি মানুষের হৃদয়ের মনিকোঠায় স্থান করে নিয়েছেন অল্প সময়ে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজীব চৌধুরী বলেন, আমার নিজের দায়বদ্ধতা থেকেই এ কাজগুলো করে যাচ্ছি। যতোদিন আছি নবীনগরের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে যাবো। তাই সবার সহযোগিতা কামনা করছি।