ঢাকা ০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ২১ পৌষ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

তীব্র শীত ও হিমেল হাওয়ায় কাঁপছে ভূরুঙ্গামারী

তীব্র শীত ও হিমেল হাওয়ায় কাঁপছে ভূরুঙ্গামারী

হিমালয়ের পাদদেশ ছোঁয়া হিমেল হাওয়া ও তীব্র শীতে কাঁবু হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীর মানুষ। ঘনকুয়াশার সঙ্গে উত্তরের হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। কনকনে ঠান্ডায় শীতবস্ত্রের অভাবে কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন হতদরিদ্র, ছিন্নমূল ও স্বল্প আয়ের শ্রমজীবী মানুষ। গত দুইদিন ধরে দেখা মিলছে না সূর্যের। দিনের বেলা সূর্যের উত্তাপ না থাকায় এবং হিমেল বাতাসে কমছে তাপমাত্রা। কুয়াশার ঘনত্ব বেশি হওয়ায় হেড লাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন। গতকাল বুধবার জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত মঙ্গলবার জেলার তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাতে শরীরে পাতলা কাপড় জড়িয়ে গুঁটিসুটি মেরে শুয়ে থাকলেও জীবিকার প্রয়োজনে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষদের কাজে যেতেই হয়। উপজেলার পাথরডুবি ইউনিয়নের হাশেম আলী (৭৫), আকরাম আলী (৭৯) ও কান্দুরি বেওয়াসহ (৮০), অনেকেই জানান, ‘কি ঠান্ডা বাহে। ঠান্ডা বাতাসে হাত, পাও গড গড করি কাপে। বুড়া হাড্ডিত জ্বার খুবই নাগবার নাগছে। পাতলা কাপড়োত ঠান্ডায় যাবার নাগছে না। কেমন করি বাইচমো কনতো। ঠেলাগাড়ি চালক ফজলু মিয়া জানান, ঠেলা নিয়ে রাস্তায় বেড় হইছি; কিন্তু ভাড়া পাচ্ছি না। গত দুইদিন থেকে পরিবারের জন্য খাবার কিনতে কষ্ট হচ্ছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোফাখখারুল ইসলাম বলেন, কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে দুই ধাপে ৯০০ কম্বল ও ৬ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। বরাদ্দ ৬ লাখ টাকা দিয়ে ১ হাজার ৪০০ কম্বল ক্রয় করা হয়েছে। কম্বল বিতরণ চলমান আছে। কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি ও আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, বছরের জানুয়ারি মাস হচ্ছে সবচেয়ে শীতলতম মাস। তাই আগামীতে আরো তাপমাত্রা কমে শৈত্যপ্রবাহ এ জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত