ঢাকা ০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ২১ পৌষ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

অবৈধভাবে মাটি কাটার বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত

অবৈধভাবে মাটি কাটার বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত

টাঙ্গাইলের মধুপুরে বিভিন্ন এলাকায় শীত মৌসুমে চলা অবৈধভাবে মাটি কাটার বিরুদ্ধে চলছে প্রশাসনের অব্যাহত অভিযান। করা হচ্ছে জেল জরিমানা। আটক করা হচ্ছে মাটির কাটার কাজে ব্যবহার করা ট্রাক ও এক্সসোভেটর মেশিন। এ কাজে জড়িত থাকার অপরাধে ব্যবসায়ীদের করা হচ্ছে জরিমানা। আবার জেল দেয়া হয়েছে কয়েকজনকে। মধুপুর উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ ডিসেম্বর অরণখোলা ইউনিয়নের জলছত্র এলাকায় ৮ একর কৃষি জমি থেকে অবৈধভাবে মাটি কাটার অপরাধে ৬টি ট্রাক ও ১টি এক্সক্যাভেটরসহ ৬ জন ব্যক্তিকে আটক করা হয়। এ সময় বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ অনুসারে ১ জনকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও ৫ জনকে ৭ দিনের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। ২৪ ডিসেম্বর মির্জাবাড়ী ইউনিয়নের পালবাড়ী মৌজায় অবৈধ মাটি উত্তোলনের অপরাধে এক ব্যক্তিকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। গত ১৪ ডিসেম্বর মহিষমারা ইউনিয়নের জয়নাতলী গ্রামে অবৈধ মাটি উত্তোলনের অপরাধে এক ব্যক্তিকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। কুড়াগাছা ইউনিয়নের পিরোজপুর মৌজায় গজারির টিলা লাল মাটি কাটার অপরাধে ছালাম নামের এক মাটি ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। সম্প্রতি মধুপুর উপজেলা প্রশাসন লাল মাটির গড় এলাকায় বিভিন্ন ইউনিয়নে অবৈধ ভাবে মাটি কাটার বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত প্রায় ৮টির বেশি অভিযান পরিচালনা করে ট্রাকসহ মাটি কাটার সরঞ্জাম আটক করে। অবৈধভাবে মাটি কাটা অপরাধে কিছু ব্যক্তিকে আটক করে জেল জরিমানাও দিয়েছে। অবৈধভাবে মাটি কাটা ও ব্যবসা বন্ধ প্রশাসনের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে সহকারী কমিশনার ভূমি রিফাত আনজুম পিয়া।

জানা যায়, গতকাল কুড়াগাছা ইউনিয়নের পিরোজপুর এলাকায় গজারি বনের টিলা জমি থেকে এক্সক্যাভেটর দিয়ে লাল মাটি কেটে নেয়া হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পাওয়া যায় বলে জানান সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রিফাত আনজুম পিয়া। সেখানে টিলা কাটার অপরাধে ছালাম নামের এক ব্যক্তিকে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ অনুসারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন তিনি।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিফাত আনজুম পিয়া জানান, অবৈধভাবে মাটি কাটার ফলে কৃষি জমি নষ্ট হচ্ছে। জীববৈচিত্র্য ও লাল মাটির ঐতিহ্য টিলাকে কেটে ফেলে সৌন্দর্য ধ্বংস করা হচ্ছে। ফলে কৃষি জমি ধ্বংসের ফলে ভূমি ধস হতে পারে। বাড়িঘর ধসে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। বনের জমি থেকেও মাটি কাটা হচ্ছে। বৈধভাবে মাটি কাটতে হলে প্রশাসনের অনুমতি নিতে হবে। এ জমি সরকারের ব্যক্তিরা কেবল ভোগ করবে চাষাবাদ করবে। সেক্ষেত্রে মাটি কাটতে হলে প্রশাসনের অনুমতি সাপেক্ষেই কাটতে হবে। ফসলি জমি ও পাহাড়ি মাটি কাঁটার রোধে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে। এ বিষয়ে সবার সহযোগিতা কামনা করেন তিনি। জনসচেতনতা বৃদ্ধি করার বিষয়ে সবাইকে এগিয়ে আসা দরকার মনে মনে করেন এই কর্মকর্তা।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত