ঢাকা ০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ২২ পৌষ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ঠাকুরগাঁওয়ে আ.লীগের ৫০০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

ঠাকুরগাঁওয়ে আ.লীগের ৫০০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

ককটেল বিস্ফোরণ, মারপিট ও বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ এনে ফের ঠাকুরগাঁওয়ে আওয়ামী লীগের ২৯৪ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে মামলা করেছেন বিএনপির এক নেতা। তিনি জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক। এই মামলায় অজ্ঞাত ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহিদুর রহমান। গত বুধবার রাতে মামলাটি এজাহার হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়। মামলার বাদী জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সত্যজিৎ কুমার কুন্ডু জানান, গত ১০ দিন আগে তিনি থানায় মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করতে অভিযোগপত্রটি জমা দেন। দলের সিদ্ধান্তে এ মামলার বাদী তিনি হন। মামলার অভিযোগে জানা যায়, মামলায় উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার রায়, সাংগঠনিক সম্পাদক সন্তোষ কুমার আগরওয়ালা, কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও ঠাকুরগাঁও পৌরসভার সাবেক মেয়র আঞ্জুমান আরা বেগম বন্যা ও সাবেক সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য দ্রৌপদী দেবী আগরওয়ালা। মামলায় উল্লেখ করা হয়, উল্লেখিত ২৯৪ জনসহ অজ্ঞাত ৫০০ আসামি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশি মারাত্মক অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হত্যার উদ্দেশে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এ সময় মামলার বাদি সত্যজিৎ কুমার কুন্ডুসহ তার লোকজনের ওপর হামলা করে এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটাতে ও ধাওয়া দিতে থাকে। আসামিদের সঙ্গে থাকা পিস্তলের ছোড়া গুলিতে উপস্থিত ছাত্র-জনতার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় লেগে গুরুতর আহত হন। আসামিদের তাণ্ডবে সেই সময় মামলার বাদী শহরের ট্রাফিক মোড় থেকে দৌড়ে জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন। এ সময় আসামিরাও বিএনপি অফিসের চারপাশে অবস্থান নেন। তারা ককটেল বিস্ফোরণ করলে বিএনপির এই নেতা প্রাণ রক্ষার্থে পার্টি অফিসে প্রবেশ করলে আসামিরা প্লাস্টিকের বোটলে প্রেট্রোল দিয়ে পার্টি অফিসে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। এতে অফিসে আলমারিতে রক্ষিত গুরুত্বপূর্ণ কাগজ-পত্রসহ অফিস বিল্ডিং এর অবকাঠামে পুড়িয় ছাই হয়ে যায়। এতে পার্টি অফিসের ৫টি ল্যাপটপ, ২টি টিভি, ১টি ফ্রিজ, একাধিক চেয়ার-টেবিল ও ৩টি এসি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আনুমানিক ১ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে এবং সাক্ষীদের শারিরিক অবস্থা বেগতিক হলে ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। অসুস্থ থাকায় ও সাক্ষীদের কাছ থেকে আসামিদের নাম সংগ্রহ করে এজাহার দায়ে বিলম্ব হয়েছে। ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি শহিদুর রহমান বলেন, গত বুধবার রাতে সত্যজিৎ কুমার কুন্ডু নামে ব্যক্তি ২৯৪ জনের নাম উল্লেখ্য করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। হামলার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত