ঢাকা ০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ২২ পৌষ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

খিরার ফলনে ধস লোকসানে কৃষক

খিরার ফলনে ধস লোকসানে কৃষক

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর তাড়াইল উপজেলায় খিরা আবাদ হয়েছে ৩৫০ হেক্টর জমিতে। খিরা একটি স্বল্পমেয়াদি ফসল। এর জীবনকাল মাত্র ৬৫-৯০ দিন। কম সময়ে ভালো আয় হওয়ায় রবি মৌসুমে হাওরাঞ্চলের শুরু তাড়াইল উপজেলার কৃষকের জন্য এটি একটি জনপ্রিয় ফসল। গতকাল শুক্রবার সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন হাওরে গত বছরের তুলনায় এ বছর খিরা খেত কম দেখা যায়। নারী-পুরুষ ও শিশুরা খিরা খেতে কাজে ব্যস্ত। কেউবা খিরা তুলছে, কেউবা বাছাই করছে আবার কেউবা বস্তায় ভরছে। তাড়াইল সদর বাজার বেলংকা রোডের কৃষক খাইরুল ইসলাম জানান, আবহাওয়া ঠিক থাকলে অন্য ফসলের চেয়ে খিরা চাষে অধিক লাভ হয়। এমন আশা থেকেই খিরা চাষ করেছি। কিন্তু এ বছর ফলন ভালো না হওয়ায় এবং ভালো দাম না থাকায় লোকসান গুনতে হবে। খিরা খেতে খিরা তুলতে আসা সোহানুর রহমান জানান, খিরা চাষে খরচ কম অধিক লাভ। তাই আমার বড় ভাই খায়রুল ইসলাম এ বছর খিরা চাষ করে ভালো দাম না পাওয়ায় আমরা লোকসানের মুখে পড়েছি। তাড়াইল-সাচাইল ইউনিয়নের সাচাইল গ্রামের কৃষক উজ্জল মিয়া বলেন, আমি ৮ কাটা জমি ৩০ হাজার টাকা দিয়ে অন্যের কাছ থেকে জমা নিয়েছি। এই জমিতে দুটি ফসল করব। একটি হলো খিরা অন্যটি হল ইরি-বোরো ধান। ৮ কাটা জমিতে খিরা চাষে ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এ পর্যন্ত প্রায় ১ লাখ টাকার খিরা বিক্রি করতে পেরেছি। তিনি আরো বলেন, আড়তে বর্তমানে খিরার কেজি ১২ টাকা। আমি আরো প্রায় ২০ হাজার টাকার খিরা বিক্রি করতে পারব। একই ইউনিয়নের দাড়িয়াপুর গ্রামের কৃষক রুবেল মিয়া বলেন, আমি ৩ কাটা নিজের জমিতে খিরা চাষ করেছি। খরচ হয়েছে প্রায় ১৫ হাজার টাকা। কিছুদিনের মধ্যেই বাজারে খিরা বিক্রি করতে পারব। বাজারদর ভালো থাকলে ৪০ হাজার টাকার খিরা বিক্রি করতে পারব। তাড়াইল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ বিকাশ রায় আলোকিত বাংলাদেশকে জানান, এ বছর আবহাওয়া তেমন অনুকূলে না থাকায় বৃষ্টির কারণে অনেকেরই খিরা গাছ নষ্ট হয়ে যায়। তবে যাদের খিরা খেতের চারাগুলি হৃষ্টপুষ্ট হয়েছে তাদের খেতে রোগবালাই কম থাকায় কৃষক ভালো ফলন পাচ্ছেন। তিনি বলেন, রবি মৌসুমে খিরা চাষ অর্থনীতিতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে। সঠিক ব্যবস্থাপনা এবং বাজারে চাহিদা বজায় থাকলে কৃষক এ সফলতা আরো দীর্ঘস্থায়ী করতে পারবেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত