চাঁদপুরের মতলব উত্তরে সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদা দাবি করায় স্থানীয় জনতার হাতে আটক হয় পাঁচজন। পরে মতলব উত্তর থানা পুলিশকে অবহিত করলে সেখান থেকে তাদেরকে উদ্ধার করে মতলব উত্তর থানা হেফাজতে নিয়ে আসা হয়। আটকরা হলেন- উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের মোহনপুর গ্রামের আবুল হাসেমের ছেলে মো. হেলাল, মোহাম্মদপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে বিল্লাাল হোসেন, একই গ্রামের শামসুল হক দর্জির ছেলে নজরুল ইসলাম, মনির হোসেনের ছেলে মো. আকাশ, কলাকান্দা ইউনিয়নের হানির পাড় গ্রামের আব্দুল হালিম সরকারের ছেলে মো. নিরব। এ সময় তাদের কাছে থাকা ব্যাগ দুইটি দেশীয় অস্ত্র (চাইনিজ কুড়াল) উদ্ধার করা হয়েছে। জানা যায়, গতকাল গজরা ইউনিয়নে ডুবগী গ্রামে পাম্প হাউজের সেচ ক্যানেলের খালের জায়গায় ড্রেজিংএর মাধ্যমে বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে সেখানে গিয়ে তারা সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদা দাবি করে। পরবর্তীতে তাদেরকে স্থানীয় জনগণ আটক করে থানা পুলিশে সোপর্দ করে। গজরা ইউনিয়নের হাজী আবুল হোসেন, মামুন চিশতী, সিপনসহ কয়েকজন জানান, এই খালে মাটি খননের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড টেন্ডার দিয়েছে। আমরা এলাকাবাসী সবাই মিলে ঠিকাদারের সঙ্গে কথা বলে এখান থেকে বালু উত্তোলন করে মাদ্রাসা, মসজিদ ও কবরস্থানের জন্য জায়গা ভরাট করতেছি।
এখানে এসে তারা সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদেরকে হুমকি দেয়। তখন আমরা এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে তাদের আটক করে থানা পুলিশে হাতে তুলে দেই। মতলব উত্তর থানার ওসি রবিউল হক জানান, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক আমি সেখানে গিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছি। তাদের বিরুদ্ধে সঙ্গে সঙ্গে চাঁদাবাজির মামলা করা হয়েছে। চাঁদপুরের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, মাটি খননের জন্য টেন্ডারের পক্রিয়ায় ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছে। এখানে ভেকু মেশিন (এক্সকাভেটর) দিয়ে খাল খনন করা যেতে পারে। কিন্তু ড্রেজার বসিয়ে মাটি উত্তোলন করে অন্য জায়গায় বালু বিক্রি করবে এটা করতে পারবে না।
