মানিকগঞ্জের দৌলতপুরে দুর্নীতির মাধ্যমে ৭৯৫টি ভুয়া অবৈধ জন্ম নিবন্ধনের তথ্য ফাঁস করায় ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ সেলিম মোল্লাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে কয়েকজন দুর্বৃত্ত। এঘটনার প্রতিকার ও জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন চরকাটারী ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা। ভুক্তভোগী প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, দৌলতপুর উপজেলার চরকাটারী ইউনিয়ন পরিষদে অবৈধ ৭৯৫টি জন্ম নিবন্ধন রেজিস্ট্রার করা হয়। গত ২০ অক্টোবর ওই পরিষদে যোগদান করেন নতুন প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ সেলিম মোল্লা। পরে তিনি ৭৯৫টি ভুয়া জন্মনিবন্ধনের তথ্যের বিষয়টি প্রশাসন ও সাংবাদিকদের অবহিত করেন। এনিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। এদিকে গত মঙ্গলবার উপজেলার চরকাটারী ইউনিয়ন পরিষদের ভিডাব্লিউবি চাউল বিতরণ শেষে বাড়ি ফেরার পথে দৌলতপুর উপজেলার জিয়নপুর ইউনিয়নের জৈন্তা ব্রিজের উপরে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে ওৎ পেতে থাকা মুখোশ ও মাস্ক পরা অপরিচিত তিনজন মধ্য বয়সী যুবক প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ সেলিম মোল্লার মোটরসাইকেল গতিরোধ করে এবং তাকে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করে। পাশে থাকা অন্য যুবক বলে তোর কারণে আমাদের দুর্নাম হয়েছে, তুই পরিষদে না আসলে আমাদের সমস্যা হতো না, তোর জন্য আমরা ঠিকমত কাজ করতে পারছি না। তোকে আজ শেষ বারের মতো ওয়ার্নিং দিলাম।
আবার দৌলতপুরে পেলে হাত পা ভেঙে প্যাকেট করে পাঠিয়ে দিমু। একথা কাউকে বললে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেয় দুর্বৃত্তরা। প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ সেলিম মোল্লা বলেন, আমি চরকাটারী ইউনিয়নে অবৈধ ভাবে ৭৯৫টি জন্ম নিবন্ধন হওয়ার তথ্য ফাঁস করি। এ অবৈধ জন্ম নিবন্ধনের নিয়ে বাংলাদেশের সব জাতীয় দৈনিক ও অনলাইন পত্রিকা এবং টিভি চ্যানেলে নিউজ হয়। সেই ক্ষোভে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে। দৌলতপুর থানার ওসি জে ও এম তৌফিক আজম বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) আহসানুল আলম বলেন, অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথেই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলা হয়েছে।