চুয়াডাঙ্গার দর্শনা হল্ট স্টেশনে খুলনা টু ঢাকাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস আপ এবং একই রুটে চলাচলকারী চিত্রা এক্সপ্রেস ডাউন ট্রেনের স্টপেজের দাবিতে রেলপথ অবরোধ করেছে ছাত্র-জনতা।
গতকাল সময় ছাত্র-জনতার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত উক্ত রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশ্বাসে ১০ দিনের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। এ সময় দুপুর পৌনে একটার সময় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনটি দর্শনা হল্ট স্টেশনে প্রবেশ করলে উপস্থিত ছাত্র-জনতা ট্রেনটি আটকে দেয়।
অপরদিকে বেনাপোল থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনটি দর্শনার পূর্বের স্টেশন উথলীত আটকা পড়ে যায়। এর ফলে খুলনা থেকে ঢাকা ও রাজশাহীগামী এবং রাজশাহী ও ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী সকল ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা আবিদ হাসান রিফাত জানান, আমরা এরই মধ্যে এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে রেল মন্ত্রণালয় বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছি।
তাছাড়া স্থানীয় ছাত্র-জনতাকে সাথে নিয়ে আমরা রেল ভবনে যেয়ে রেলমন্ত্রী, রেলসচিব এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে দেখা করে এ বিষয়ে আলোচনা করেছি। তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছিলেন, কিন্তু এরপরও আমাদের দাবি বাস্তবায়ন হয়নি। আমাদের আকাঙ্ক্ষিত ট্রেন দুটি এখনো দর্শনা হল্ট স্টেশনে থামানোর কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। সে কারণে আজকে আমরা ছাত্র-জনতাকে সাথে নিয়ে আবারও রেলপথ অবরোধ করেছি। সেই দাবি আদায়ের লক্ষ্যে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমতাজ মহল, সহকারী কমিশনার ভূমি ও দর্শনা পৌর প্রশাসক তাসফিকুর রহমান ছাত্র-জনতার প্রতিনিধিদের সাথে নিয়ে রেলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে মোবাইল ফোনে এখানকার পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করেন। সর্বশেষ সংবাদে জানা গেছে, এদিন বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী চুয়াডাঙ্গা ক্যাম্পের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা ও দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ছাত্র-জনতার দাবির ব্যাপারে রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে সমাধানের চেষ্টা করবেন বলে আশ্বাস দিলে আগামী ১০ দিনের জন্য তারা রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি স্থগিত করেন।