ঢাকা ০৮ জানুয়ারি ২০২৫, ২৪ পৌষ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

পদ্মা নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধের আশঙ্কা

পদ্মা নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধের আশঙ্কা

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা ৪১০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্রের চ্যানেলের নিকট পদ্মা নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন ও রাস্তা নির্মাণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পদ্মা নদীর উজান থেকে পানি কম আসার কারণে যেকোনো মুহূর্তে বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। পদ্মা নদীতে অবৈধ বালু উত্তোলনের দায়ে ৬ জন বালু ব্যবসায়ীকে কারাদণ্ড প্রদান করেছে। পদ্মা নদীর বালু মহল দখল নিতে এরই মধ্যে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ২টি বালু ঘাটে ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছে। এ সময় ৬০/৭০টি মোটরসাইকেল নিয়ে শতাধিক সশস্ত্র সন্ত্রাসী বালুর ঘাট দখল নিতে ব্যাপক গুলিবর্ষণ, ককটেল নিক্ষেপ করে। ভাঙচুর করে ১৫টি মোটরসাইকেল। অগ্নিসংযোগ করা হয় ৬টি মোটরসাইকেলে। এ ঘটনায় ৭ জন আহত হয়েছেন। ভেড়ামারা ৪১০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্রের অফিস সূত্রে জানা গেছে, ৪১০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালানোর জন্য পদ্মা নদী থেকে চ্যানেলের মাধ্যমে পানি উত্তোলন করে বাস্প ইঞ্জিনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়ে থাকে। বিদ্যুৎকেন্দ্রের চ্যানেলের মুখে ও আশেপাশে পদ্মা নদীর বালুর স্তুপ থাকায় চরম হুমকির মুখে রয়েছে। চ্যানেলের চারপাশে বড় বড় বালুর স্তুপ রয়েছে। চ্যানেলের পূর্ব পাশে পদ্মা নদী নদীর পানি বন্ধ করে রাস্তা নির্মাণ করেছে। উজান থেকে পানি কম আসায় যে কোন মুহূর্তে বিদ্যুৎকেন্দ্রেটি বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রের চ্যানেলে পদ্মা নদী থেকে পানি আসা বন্ধ হলে কুলিং সিস্টেম বন্ধ হয়ে যাবে। বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা দেখা যাবে। এর ফলে দেশে বিদ্যুৎ ঘাটতিসহ লোড সেডিং হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। ভেড়ামারা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিস সূত্রে জানা গেছে, ভেড়ামারা থানার পুলিশ ও পাবনার নৌ পুলিশের সমন্বয়ে পদ্মা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কাজে জড়িত থাকার দায়ে ৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। পদ্মা নদীতে অবৈধ বালু উত্তোলনের কারণে ভেড়ামারার বাহিরচরের তড়িয়ামহল, বাগগাড়ীপোল, কৈগাড়িপাড়া এবং রায়টা পাথরঘাটে যৌথ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার ৪১০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান নির্বাহী প্রকেীশলী রবিউল আওয়াল বলেন, বিদ্যুৎকেন্দ্রেটি চালানোর জন্য পদ্মা নদী থেকে চ্যানেলের মাধ্যমে পানি উত্তোলন করে বাষ্প ইঞ্জিনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়ে থাকে। চ্যানেলের নিকট পদ্মা নদী বালুর স্তপ থাকায় চরম হুমকির মুখে রয়েছে। চ্যানেলের পূর্ব পাশে পদ্মা নদীর পানি বন্ধ করে রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। উজান থেকে পানি কম আসায় যে কোনো মুহূর্তে বিদ্যুৎকেন্দ্রেটি বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ভেড়ামারা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আনোয়ার হোসাইন বলেন, থানা পুলিশ ও নৌ পুলিশের সমন্বয়ে পদ্মা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কাজে জড়িত থাকার দায়ে ৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। পদ্মা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধের জন্য একাধিক অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। আগামীতে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত