বাজারে যখন ভোজ্য তেলের দামে অস্থিরতা শুরু হয়েছে ঠিক তখন ধান উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত জেলা দিনাজপুরের কৃষকরা ব্যাপকহারে শুরু করেছে তেল জাতীয় ফসল সরিষার আবাদ। আর এ আবাদকে আরো বেগবান করার জন্য দিনাজপুরে ২৩ হাজার সরিষা চাষির মাঝে এক বিঘা জমিতে চাষাবাদের জন্য বীজ ও রাসায়নিক সার সরকারি প্রাণোদনা দেয়া হয়েছে। দিনাজপুরে সরিষা চাষের লক্ষমাত্রা ছিল ১৯ হাজার ৪৫৭ হেক্টর জমিতে। লক্ষমাত্রা ছড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। গত বছরের চেয়ে ৪ হাজার ৭২৯ হেক্টর জমিতে বেশি আবাদ হয়েছে।
কৃষকরা জানান, আমন ধান আবাদের পর বোরো আবাদ শুরু না হওয়া পর্যন্ত তারা পতিত জমিতে সরিষার চাষ করছেন। আর কদিন পরেই সরিষা ঘরে তুলে ওই জমিতে বোরো আবাদ করবেন। এক বিঘা জমিতে সরিষা আবাদ করতে সবমিলিয়ে খরচ হয় ১০ হাজার থেকে ১২ হাজার টাকা। ফলনও ভালো হয়েছে।
অন্তত ৮ থেকে ৯ মণ সরিষার ফলন পাবেন বলে আশা করছেন তারা। বর্তমান বাজার অনুযায়ী সরিষা বিক্রি করে অন্তত ২৫ হাজার টাকা পাবেন। এতে তারা এক বিঘা জমিতে ১৫ হাজার টাকা বাড়তি আয়ের পাশাপাশি পরিবারের ভোজ্য তেলের চাহিদাও মিটবে। দিনাজপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. নুরুজ্জামান জানান, ভোজ্য তেলের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি আর্থিকভাবে লাভবান করতে কৃষকদের এবার সরিষা আবাদে উৎসাহিত করা হয়েছে। দিনাজপুর জেলার ১৩ উপজেলার সরিষাচাষি কৃষকদের মাঝে ২৩ হাজার কৃষককে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ করেছে। ফলে জেলায় এবার সরিষার আবাদ ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। দিনাজপুরের তেলকল মালিকেরা জানান, প্রতিমণ (৪০ কেজি) সরিষায় তেল পাওয়া যায় ১৬ লিটার। অর্থাৎ এক টন সরিষায় তেল উৎপাদন হয় ৪০০ লিটার।