কুমিল্লার তিতাস উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবার উপজেলার ২৭টি ব্লকের মধ্যে ৫২১ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। যার ৫০০ হেক্টর জমিতে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ ছিল। গত বছর লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হলেও আবাদ হয়েছিল ৪২৭ হেক্টর।
গত বছরের তুলনায় এবার ৬ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ কম হয়েছে। তবে গতবারের তুলনায় কলাকান্দি ইউনিয়নে সরিষার আবাদ কমলেও বেড়েছে জগতপুর ইউনিয়নে। অন্যদিকে, উক্ত ব্লকগুলোতে গত বছর ১২৭০ হেক্টর জমিতে ভূট্টার আবাদ হয়েছিল। এবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩৪০ হেক্টর। গত বছরের তুলনায় এবার ৭০ হেক্টর জমিতে ভূট্টার আবাদ বেড়েছে। এছাড়াও গত বছর তুলনায় বোরো আবাদ বেড়েছে। গত বছর ৬৮২০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হলেও এবার তা বেড়ে ৬৮২৮ হেক্টর দাঁড়িয়েছে। বলরামপুর ইউনিয়নের ঐচারচর গ্রামের কৃষক মো. আরিফ হোসেন বলেন, ‘প্রর্দশনী প্লটের আওতায় এবার আমি সরিষা চাষ করেছি। আগে এ জমিতে গরুর গোখাদ্য চাষ করতাম। কৃষি অফিসের পরামর্শে এবার সরিষা চাষ করেছি। অফিস থেকে আমাকে বিনামূল্যে বীজ, সার ও কীটনাশক দিয়েছে।
জমির হালচাষ ছাড়া আমার কোন টাকা খরচ হয়নি।জগতপুর ইউনিয়নের দ্বিতীয় দশানীপাড়ার কৃষক মো. মোস্তাক মিয়া বলেন, ‘আমি এবার ৭ শতক জমিতে বারি সরিষা-১৪ আবাদ করেছি। ফুলে সারা খেত ছেয়ে গেছে। যদি বৃষ্টিপাত না হয় তাহলে ভালো ফলন পাওয়ার আশা করছি। কালাইগোবিন্দপুর ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. কাউছার আহমেদ জানান, ‘উপজেলার বিভিন্ন ব্লকে এবার বারি সরিষা-১৪, ১৫, ১৯, ২০ ও ১৮ জাতের বীজ চাষ হয়েছে। তেল উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরিষা চাষে আমাদের আলাদা নজর রয়েছে’। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফ আব্দুল্লাহ মোস্তাফিন বলেন, ‘এবার বন্যার পানি একটু দেরিতে নেমেছে। দ্রুত পানি নিষ্কাশনে সমস্যা হওয়ায় এবার সরিষা চাষ কিছুটা কম হয়েছে। তবে গতবারের তুলনায় এবার উপজেলায় ভূট্টা ও বোরো ধানের আবাদ বেড়েছে’।