ঢাকা ১০ জানুয়ারি ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ইপিজেড কর্মীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

ইপিজেড কর্মীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

পাবনার ঈশ্বরদী ইপিজেডে মেহেদী হাসান নাইম (২০) নামে এক কম্পিউটার অপারেটরকে মারধরের পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বুধবার রাত ২টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সে মারা যায়। নিহত নাইম ঈশ্বরদীর গোকুলনগর চক্ষু হাসপাতাল সংলগ্ন মুক্তা শেখের ছেলে এবং ইপিজেডের আইএইচএম গার্মেন্টস অ্যান্ড ট্রেক্সটাইল কোম্পানি লিমিটেডে কম্পিউটার অপারেটিং পদে কর্মরত ছিলেন।

পুলিশ নিহত নাইমের বাড়িতে গিয়ে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। নাইমের পিতা মুক্তা শেখ বলেন, নাইম মৃত্যুর পূর্বে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাকে মারধরের কথা বলে গেছেন। তিনি বলেন, ইপিজেডের ওই অফিসের এডমিন মিজানুর রহমানের সঙ্গে নাইমের পদোন্নতি বিষয় নিয়ে গত বুধবার সকালে কথা কাটাকাটি হয়। বাকবিতণ্ডায় একপর্যায়ে এডমিন নাইমকে বুকে ও পিঠে প্রচণ্ড আঘাত করেন। এতে নাইম অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে ইপিজেডের অভ্যন্তরে বেপজা হাসপাতালে চিকিৎসা দিতে যাওয়া হয়।

তিনি বলেন, খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ইপিজেড বেপজা হাসপাতাল থেকে নাইমকে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করাই। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। রাত ২টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানেই সে মারা যায়। তিনি বলেন, রাতে রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালের চিকিৎসকরা নাইমের পিঠ থেকে ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে প্রায় ২ কেজি ৫০০ গ্রাম কালচে জমাট রক্ত বের করেন এবং চিকিৎসকরা তাকে জানান, নাইমের বুকে ও পিঠে প্রচণ্ড আঘাতের জন্য এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত এডমিন মিজানুর রহমান জানান, নিহত কম্পিউটার অপারেটর মেহেদী হাসান নাইমকে মারধরের কোনো ঘটনা কোম্পানিতে ঘটেনি। কি কারণে নাইম মারা গেছে তিনি জানেন না। আমি একটি অডিটের কাজে ব্যস্ত আছি বলেই তিনি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

ঈশ্বরদী থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে নিহত নাইমের বাড়িতে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত