বুকে ব্যাথার চিকিৎসা করাতে এসেছিলেন সরকারি হাসপাতালে। চিকিৎসা নিতে এসে কয়েকজন যুবক রোগিনীর পরিজনকে মারধর করলো বলে অভিযোগ। পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্রেক্সে ঢুকে গতকাল সোমবার সাড়ে ১১টায় এই ঘটনা ঘটে। সেখানে চিকিৎসা করাতে এসেছিলেন উপজেলার পূর্ব বানিয়ারী স্থানীয় বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুুর রহমানের স্ত্রী ছাহেরা বেগম। সঙ্গে ছিলেন পরিবারের সদস্যরা। হামলায় আহত হন- মাটিভাঙ্গা ইউনিয়নের এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুুর রহমানের স্ত্রী ছাহেরা বেগম (৭৫), মেয়ে হাসিনা বেগম (৫৫) ও তার নাতি আজমাইন সেখ (২৪)। গুরুতর অবস্থা হাসিনা বেগম হাসপাতালে চিচিৎসাধীন। প্রেসক্রিপশনে নিয়ে ডাক্তারের অপক্ষোয় বসে থাকা অবস্থায় মারধর করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেঝেতে ফেলে চিকিৎসা পত্র নিয়ে চলে যায়। এ সময় হাসপাতালের রোগী ও তাদের স্বজন এবং চিকিৎসকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় পুলিশ ও নাজিরপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা অরুপ রতন সিং ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। রোগীর মেয়ে হাসিনা বেগম জানান, আমার মা ছাহেরা বেগম ৪ থেকে ৫ দিন আগে বুকে ব্যাথা অনুভব করেন। যন্ত্রণা বেশি ওয়ায় নাজিরপুর উপজেলা হাসাপাতালে পরিজনরা তাকে নিয়ে যান। চিকিৎসকরা প্রেসক্রিপশনে লিখে দেন। প্রেসক্রিপশনে নিয়ে চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের অপক্ষোয় বসে থাকা অবস্থায় অজ্ঞাত এক নারী বোরকা পরিহিত অবস্থায় ডাক্তারের চিকিৎসা পত্র নিয়ে চলে যাওয়া চেষ্টা করলে এমতাবস্থায় বাধা দিলে আমাদের মারধর করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেঝেতে ফেলে চিকিৎসা পত্র নিয়ে দুবৃত্তরা চলে যায়।
পরে পুনরায় এসে ১৫ থেকে ২০ জন যুবক ক্ষিপ্ত হয়ে কিল, চড় লাথি মারতে শুরু করেন। রোগী প্রেসক্রিপশনে নিয়ে মারধরের ঘটনার এ অভিযোগের তীর উঠেছে স্থানীয় গ্রীন লাইফ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কর্মীসহ প্রায় ১৫ থেকে ২০ জন বিরুদ্ধে।