টমেটো চাষে স্বাবলম্বী
প্রকাশ : ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
আজাহার আলী, বগুড়া
সোনাতলায় আগাম ও উচ্চ ফলনশীল জাতের টমেটো চাষে ভাগ্য পরিবর্তন করেছেন উপজেলার হারিয়াকান্দি গ্রামের রাজু মিয়া। এরইমধ্যে তিনি দেড় লক্ষাধিক টাকার টমেটো বিক্রি করেছেন। আরো ৬ লাখ টাকার টমেটো বিক্রি করার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। গত বছর তিনি এক বিঘা জমিতে টমেটো চাষ শুরু করেন। সেখান থেকে মুনাফা আসে বেশ ভালো। চলতি বছর তিনি প্রথম বছরের চেয়ে তিনগুণ জমিতে টমেটো চাষ শুরু করে দেন। সোনাতলা উপজেলার বালুয়া ইউনিয়নের হারিয়াকান্দি গ্রামের রাজু মিয়া একই গ্রামের এক ব্যক্তির সাড়ে ৪ বিঘা জমি বর্গা নিয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরামর্শে উচ্চ ফলনশীল টমেটো পলি মালচিং পদ্ধতিতে চাষাবাদ শুরু করেন। এরইমধ্যে তিনি লক্ষাধিক টাকার টমেটো বিক্রি করেছেন। আরো প্রায় ৬ লাখ টাকার টমেটো বিক্রি করবেন বলে আশা করছেন। টমেটো গাছের গঠন ঠিক রাখতে বাঁশের খুঁটি, রশি, সুতা ব্যবহার করেছেন। সব মিলিয়ে সাড়ে চার বিঘা জমিতে ব্যয় হয়েছে প্রায় দেড় লক্ষাধিক টাকা। ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ জমিতে টমেটো চাষে খরচ পড়ে প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা। বাম্পার ফলন হলে এখান থেকে ৪ হাজার কেজি টমেটোর উৎপাদন হতে পারে। প্রতি কেজি টমেটো পাইকারি গড়ে ৩০ টাকায় বিক্রি করা গেলে এ চাষে কৃষকরা বেশি লাভবান হবেন। আশা করা যায় আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে জমিতে উৎপাদিত টাটকা বিষমুক্ত টমেটো বাজারজাত শুরু হবে। শীতকালীন আগাম টমেটো চাষ করেছেন অনেক কৃষক। ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ের তথা শীতের প্রথমদিকের বাজারকে টার্গেট করেই মূলত এ উৎপাদন করছেন তারা। গাছে গাছে ফলনও সন্তোষজনক।
তাই টমেটো বিক্রি করে ভালো আয়ের আশা করছেন কৃষকরা। গত কয়েক বছরে টমেটোর বাজার সন্তোষজনক হওয়ায় চাষ বাড়ছে। আমন ধান ওঠার পর পরই শীতের আগাম জাতের টমেটো উৎপাদন করা যায়। স্থানীয় বাজারে প্রথম দফায়ই বেশি দাম পেয়ে বেশ লাভবান হন কৃষকরা। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, রাজু একজন তরুণ উদ্যোক্তা। তার ফসল ফলানো, ফসল উৎপাদন দেখে স্থানীয় কৃষকেরা উদ্বুদ্ধ হয়েছেন। ফলে দিন দিন ওই উপজেলায় টমেটো চাষির সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। টমেটো চাষে উৎপাদন খরচ কম, লাভ বেশি। তাই অল্প সময়েই রাজু টমেটো চাষ করে ভাগ্যের পরিবর্তন করেছেন।