সাবেক কাউন্সিলর টিপু হত্যায় আটক তিন, অস্ত্র উদ্ধার

প্রকাশ : ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  এএইচ সেলিম উল্লাহ, কক্সবাজার

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত সংলগ্ন হোটেল সি গালের সামনে খুলনা সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি গোলাম রব্বানী টিপু হত্যার মিশনে অংশ নেয়া সেই নারী সঙ্গী রুমিসহ তিনজনকে আটক করেছে কক্সবাজার জেলা পুলিশের একটি টিম। গতকাল মঙ্গলবার রাতে সিলেটের মৌলভীবাজার এলাকার থেকে তাদের আটক করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার কক্সবাজারের পুলিশ সুপার (এসপি) মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ এক ক্ষুদে বার্তার মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তৎক্ষণিক আটকদের বিস্তারিত নামণ্ড,ঠিকানা জানাতে না পারলেও টিপুর সঙ্গি সেই নারী রুমি আটকের তালিকায় রয়েছে বলে দাবি করেন এসপি। গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতসংলগ্ন হোটেল সি গালের সামনে টিপুকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় গত শুক্রবার টিপুর বোনের স্বামী ইউনূছ আলী শেখ কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলা করেছেন। এদিকে হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে দুজনকে আটক করেছে র‍্যাব-১৫। এই হত্যার ঘটনার পর থেকে অনুসন্ধানে শুরু করেন কক্সবাজার জেলা পুলিশ। জেলা পুলিশের পৃথক টিম মাঠে কাজ করেছিল। তার ধারাবাহিকতায় গতকাল মঙ্গলবার রাতে সিলেটের মৌলভীবাজার এলাকা থেকে খুনে মিশন বাস্তবায়নকারী তিনজনকে আটক করেন। ওই সময় তাদের কাজ থেকে হত্যার কাজে ব্যবহৃত অস্ত্রটিও উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পর র‍্যাব-১৫-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচএম সাজ্জাদ হোসেন জানান, গত বৃহস্পতিবার সকালে ইফতেখার ও টিপু কক্সবাজারে আসেন। তারা কক্সবাজার শহরের কলাতলী সড়কের হোটেল গোল্ডেন হিলে ওঠেন। তবে হোটেলের ‘অতিথি লিপিবদ্ধ বই’-এ দেখা গেছে, সকাল ৭টায় ইফতেখার ও টিপুর সঙ্গে রুমি (২৭) নামের এক নারীও হোটেলে ওঠেন। হোটেল গোল্ডেন হিলের ম্যানেজার মোহাম্মদ শফিক বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে টিপুসহ তিনজন হোটেল আসেন। টিপু হোটেলটির দুই কক্ষবিশিষ্ট ৭০০৩ নম্বর ফ্ল্যাটে ওঠেন। একটি কক্ষে টিপু এবং অন্যকক্ষে দুজন অবস্থান করছিলেন। সন্ধ্যার পর টিপু হোটেল থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি। র‍্যাব-১৫-এর অধিনায়ক আরো বলেন, আমাদের হাতে আসা হোটেলটির অভ্যর্থনা কক্ষের একটি সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা ৩১ মিনিটে ওই নারীসহ টিপু হোটেল থেকে বেরিয়ে যান। এরপর রাত ৮টা ২০ মিনিটের দিকে হোটেল সি গালের সামনের ফুটপাতে টিপু দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হন। রাত ১২টার পর ইফতেখারকে ওই হোটেল থেকে আটক করে র‌্যাব। তবে রুমি পলাতক রয়েছেন। খুনের শিকার টিপু দৌলতপুর এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী ও চরমপন্থি নেতা শহিদুল ইসলাম ওরফে হুজি শহীদকে (৪২) হত্যা মামলার আসামি ছিলেন। ২০১৫ সালের অক্টোবরে দৌলতপুর খান এ সবুর রোডে ইসলামী ব্যাংকের সামনে শহিদুল ইসলামকে গুলি করে হত্যা করা হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আসা হোটেলটির অভ্যর্থনা কক্ষের একটি সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা ৩১ মিনিটে ওই নারীসহ নিহত কাউন্সিলর টিপু হোটেল থেকে বেরিয়ে যান। রাত ৮টা ২০ মিনিটের দিকে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতসংলগ্ন হোটেল সি গালের সামনের ফুটপাতে দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হন গোলাম রব্বানী টিপু। তারপর থেকে রুমি নামে ওই নারী পলাতক ছিলেন।