বেনাপোলে আওয়ামী লীগের হামলায় নিহত বিএনপির নেতা আব্দুল আলীমের লাশ আড়াই বছর পর ময়নাতদন্তের জন্য উত্তোলন করা হয়েছে। হামলার পর আহত অবস্থায় এক মাস চিকিৎসাধীন থেকে ২০২২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর যশোরের একটি হাসপাতালে মারা যান তিনি। এ ঘটনায় ওই সময় তার পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো মামলা না করলেও গত বছর ১৮ নভেম্বর নিহত আব্দুল আলীমের স্ত্রী হাসিনা খাতুন বেনাপোল এবং শার্শা উপজেলা আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের ৬৫ জন নেতাকর্মীসহ অজ্ঞাত ২০ থেকে ২৫ জনের বিরুদ্ধে বেনাপোল পোর্ট থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। আদালতের নির্দেশে গত বুধবার বেলা ১টার দিকে শার্শার সহকারী কমিশনার এবং ভূমি কর্মকর্তা নুসরাত ইয়াসিন ও বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি রাসেল মিয়ার উপস্থিতিতে বেনাপোল এম ইউ সিনিয়র মাদরাসার পাশের কবরস্থান থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়। পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
নিহত আলিম বেনাপোল পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির একজন সদস্য ছিলেন। ওই সময় খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ২০২২ সালের ১৬ আগস্ট বেনাপোল পৌর বিএনপি কর্তৃক আয়োজিত দোয়া মাহফিল শুরুর আগমুহূর্তে আওয়ামী লীগের হামলায় বেশকিছু বিএনপি নেতা মারাত্মকভাবে আহত হন। গুরুতর আহতদের মধ্যে আব্দুল আলিমও ছিলেন।
শার্শা উপজেলা সহকারী কমিশনার এবং ভূমি কর্মকর্তা নুসরাত ইয়াসিন জানান, ২০২২ সালের একটি হত্যা মামলা হয়েছে গত বছর ১৮ নভেম্বর। ওই মামলার বিচার কার্য পরিচালনার নিমিত্তে আদালতের নির্দেশে আজ আব্দুল আলিমের লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
