সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা মাধ্যমিক বিদ্যালয় একটি শতবর্ষী ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ। স্বনামধন্য এই বিদ্যালয়ের কৃতি শিক্ষার্থীরা সারাদেশ তথা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন। অবদান রেখে চলেছেন সমাজ তথা মানবকল্যাণে। দায়িত্ব পালন করছেন রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরে। এ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের নিয়ে গঠিত ‘নলতা হাই স্কুল প্রাক্তন ছাত্র সোসাইটির ২০২৫-২৬ কার্যবর্ষের কার্যনির্বাহী পরিষদ ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার ঢাকার মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানের একটি পার্কে বিদ্যালয়টির প্রাক্তন শিক্ষার্থদের মিলনমেলায় এই কমিটির কার্যনির্বাহী পরিষদের মনোনীতদের নাম ঘোষণা করা হয়। কার্যনির্বাহী পরিষদের উপদেষ্টা পরিষদে বিদ্যালয়টির প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মধ্যে যাদের নাম ঘোষণা করা হয়। তারা হলেন- অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহল হক (১৯৫৯), অধ্যাপক ড. গোলাম রহমান (১৯৫২), ইঞ্জি. আবুল কাশেম (১৯৬২), এএসএম বাবর আলী (১৯৫৯), মো. মাহফুজুল হক (১৯৬৪), অধ্যাপক জাহানারা বেগম (১৯৬৮), মোস্তাফিজুর রহমান (১৯৬৯), আফজাল হোসেন (১৯৭০), একেএম শহীদুল ইসলাম (১৯৬৮), অধ্যাপক ডা. শহিদুল আলম (১৯৭৪)। এছাড়াও সোসাইটির ২০২৫-২৬ কার্যবর্ষের কার্যনির্বাহী পরিষদের সভাপতি হিসেবে সবার সর্বসম্মতিক্রমে আবু মাসুদ (১৯৮১) ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ইকবাল মাসুদ (১৯৮৬) মনোনীত হয়েছেন। পরিষদের অন্যান্যরা হলেন- সহ-সভাপতি অধ্যাপক ডা. ফখরুল ইসলাম (১৯৭০), হারুনুর রশিদ (১৯৭৯) ও মো. আবু জাফর মিঞা (১৯৮৩), যুগ্ম- সাধারণ সম্পাদক আতিয়ার রহমান (১৯৮৭) ও বজলুর রহমান (১৯৯০), অর্থ সম্পাদক এসএম মাজহারুল আনোয়ার (১৯৯৭), দপ্তর ও সংগঠনিক সম্পাদক আজিজ ইসলাম (১৯৯৪), শিক্ষা ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক এসএম শরীফুজ্জামান (১৯৯১), প্রচার ও সংস্কৃতি সম্পাদক আলমগীর হোসেন (১৯৯৪), কার্যনির্বাহী সদস্য অধ্যাপক ড. আব্দুল কাদের আরেফিন (১৯৯০), ডা. খুরশীদ আলম (১৯৮৯), আহছান জাকির মিঠু (১৯৮৫), মো. মোশায়েদ আলী (১৯৮৭), আ ফ ম এনামুল হক (১৯৮৬), ইঞ্জি. আইয়ুব হোসেন মুকুল (২০০০), আরিফুল ইসলাম (১৯৯৪), অশোতোষ সরকার রাজ (১৯৯৪), মো. মনিরুল ইসলাম (২০০৩), অনুপ কুমার সরকার (২০০৪), আসাদুর রহমান খান রনি (২০০৪) ও আসাদুজ্জামানের (২০১৩) নাম ঘোষণা করা হয়। সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা গ্রামের জমিদার ভঞ্জ চৌধুরী ১৯১৭ সালের ২ জানুয়ারি বিদ্যালয়টির শুভ সূচনা করেন। পরে অবিভক্ত বাংলার শিক্ষা বিভাগের সহকারী পরিচালক, নলতা কেন্দ্রীয় আহ্ছানিয়া মিশনসহ অসংখ্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা, শিক্ষা ও সমাজ সংস্কারক, বিশিষ্ট সাহিত্যিক, দার্শনিক, সুফী-সাধক, পীরে কামেল সুলতানুল আউলিয়া কুতুবুল আকতাব গওছে জামান আরেফ বিল্লাহ হজরত শাহছুফী আলহাজ খানবাহাদুর আহছানউল্লা (র.) এর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বিদ্যালয়টির ভবন নির্মাণসহ বহু উন্নতি সাধিত হয়। পীর কেবলার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ১৯১৯ সালে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক বিদ্যালয় স্থায়ী স্বীকৃতি লাভ করে।
