‘শিক্ষকদের গবেষণা দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে অবদান রাখছে’
প্রকাশ : ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
চট্টগ্রাম ব্যুরো
চুয়েটের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূইয়া বলেছেন, শিক্ষকদের গবেষণা দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে অবদান রাখছে। গবেষণা থেকে প্রাপ্ত নতুন জ্ঞান ও প্রযুক্তির উদ্ভাবন দেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও অন্যান্য সার্বিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, যা একটি দেশকে উন্নত জাতি হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়তা করে। শিক্ষকদের গবেষণার ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত গবেষণা তহবিলের অভাব, গবেষণার জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো ও সুযোগ-সুবিধার অভাব, শিক্ষকদের ওপর প্রশাসনিক কাজের চাপ, গবেষণায় প্রকাশনার অভাব ইত্যাদি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়। আর এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। তিনি গত সোমবার চুয়েটের একাডেমিক কাউন্সিল কক্ষে গবেষণা ও সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে আয়োজিত ‘প্রোজেক্ট কমপ্লিশন একনলেজমেন্ট ২০২৪, বেস্ট রিসার্চ পাব্লিকেশন অ্যাওয়ার্ড ২০২৩ এবং গবেষণা ও সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রিসার্চ প্রজেক্ট অ্যাওয়ার্ড (২০২৪-২০২৫)’ প্রোগ্রামের প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুর ও পরিবেশ প্রকৌশল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. সুদীপ কুমার পাল, তড়িৎ ও কম্পিউটার প্রকৌশল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সামসুল আরেফিন, মেকানিক্যাল ও ম্যানুফ্যাকচারিং প্রকৌশল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. কাজী আফজালুর রহমান এবং স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রাশিদুল হাসান। গবেষণা ও সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. সজল চন্দ্র বনিকের সভাপতিত্বে প্রোগ্রাম সঞ্চালনা করেন নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রভাষক কাজী কামরুন নাহার অনন্যা। গবেষণা ও সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অধীনে মোট ৩৯টি প্রজেক্ট দেয়া হয়। এর মধ্যে ১৯টি প্রজেক্ট সম্পন্ন হয়েছে।
সবশেষে ৪টি বেস্ট রিসার্চ পাবলিকেশন অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, গবেষণার মাধ্যমে শিক্ষকরা তাদের জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধি করেন। ফলে তারা শ্রেণিকক্ষে আরো উন্নতভাবে শিক্ষাদান করতে পারেন। এতে করে পড়াশোনার মতো কঠিন ব্যাপারটা শিক্ষার্থীদের কাছে খুব আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে। শিক্ষার্থীরা লেখাপড়াটা আরো আগ্রহের সঙ্গে করতে পারবে বলে আমি বিশ্বাস করি। গবেষণার মাধ্যমে বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের দক্ষতা অর্জন করে। ফলে তা শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধানে দক্ষ করে তুলতে পারে। এই গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে আমাদের স্থানীয় সমস্যা, দেশের সমস্যা ও বিশ্বের সমস্যাগুলোকে সমাধানের পথকে উন্নত থেকে আরো উন্নতর করে গড়ে তুলছে। গবেষণার মাধ্যমে প্রাপ্ত জ্ঞান নীতিনির্ধারণে সহায়তা করে। শিক্ষকদের গবেষণা সরকার ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে সঠিক নীতিমালা প্রণয়নে সহায়তা করতে পারে।