কুমিল্লার তিতাসে তারুণ্যের মেলায় আবহমান বাংলার হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যের প্রদর্শনী দর্শনার্থীদের মাঝে সাড়া ফেলেছে। গত সোমবার দিনব্যাপী উপজেলার ইঞ্জিনিয়ার হারুন-অর-রশিদ গালর্স কলেজ মাঠে উপজেলার ২৭টি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যামিক বিদ্যালয় এবং মাদ্রাসা এতে অংশগ্রহণ করে। মেলা উপলক্ষে একই মাঠে শিক্ষার্থী ও দেশের পরিচিত শিল্পীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের সার্বিক তত্ত্বাবধানে মেলায় বাতাকান্দি সরকার সাহেব আলী আবুল হোসেন মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়, জগতপুর সাধনা উচ্চ বিদ্যালয়, কালাইগোবিন্দপুর মহিলা দাখিল মাদ্রাসা, তিতাস ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মঙ্গলকান্দি ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসা, মজিদপুর উচ্চ বিদ্যালয়, কেশবপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ইউনিয়ন কারিগরি উচ্চ বিদ্যালয়, কাপাশকান্দি মডেল একাডেমি, কাঠালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, লালপুর নজরুল ইসলাম উচ্চ বিদ্যালয়, জুনাব আলী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, মাছিমপুর রামগতি রামনিধি ইনস্টিটিউশন, নারান্দিয়া কলিমিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, গোপালপুর ড. মোশাররফ হোসেন উচ্চ বিদ্যালয় তাদের স্টোলে আবহমান বাংলার হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যের প্রদর্শনী ফুটিয়ে তুলে। হারিয়ে যাওয়ার ঐতিহ্যের মধ্যে গাইঞ্জা দর্শনার্থীদের নজর কাড়ে।
এছাড়াও হুক্কা, শানকি, ঠেলি, ৮০/৯০ দশকের রেডিও, ফিতার ক্যাসেট, রিল ক্যামেরা, টেপ রেকর্ডার, কুপি, টিনের টর্চ লাইট, পালকি, খরম, হারিকেন, ডুলা, পাতলা, পুরাতন বাটখারা, যাতা, বেতের দাঁড়িপাল্লা, মুড়ি খাওয়ার ফুরা, রেক্সিনের মোড়া, পানের ভাটা, নারিকেলের মালা ও হারিয়ে যাওয়া পুরাতন মুদ্রা স্থান পায়। তারুণ্যের উৎসবের আওতায় উক্ত মেলার উদ্বোধন ও সমাপনীতে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুমাইয়া মমিন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিলন চাকমা, উপজেলা কৃষি অফিসার সাইফ আব্দুল্লাহ মোস্তাফিন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. মিজানুর রহমান, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রেহানা বেগম, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নাজমা আক্তার, মাধ্যমিক অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার সারজিনা আক্তারসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরা।