‘পরিবর্তিত পরিস্থিতির চাহিদা রাবিপ্রবি পরিচালিত হবে’
প্রকাশ : ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
রাঙামাটি প্রতিনিধি
রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. আতিয়ার রহমান ৭১, ৫২ ও ২৪ এর চেতনায় শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, জুলাই আগস্ট পরবর্তি পরিস্থিতির মানুষের চাহিদার ওপর ভিত্তি করে বৈষম্যমুক্ত রাবিপ্রবি পরিচালিত হবে। রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক ও শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো হবে। আশা করি পরিবর্তনের এ চিত্র অল্প কিছুদিনের মধ্যে ফুটে উঠবে। গতকাল রাবিপ্রবির হলরুমে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা সদরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. আতিয়ার রহমান এ কথা বলেন।
ভাইস-চ্যান্সেলর বলেন, জুলাই আগস্ট আন্দোলনে প্রায় ২ হাজার মানুষের চলে যাওয়া, লক্ষ লক্ষ পঙ্গুত্ব বরণ করে শারীরিক ও মানসিক যন্ত্রণার বিনিময়ে পাওয়া নতুন বাংলাদেশ বিনির্মানে আমাদের সবাইকে এক হয়ে কাজ করে যেতে হবে। গত ১০ বছরে রাবিপ্রবি যে উচ্চতায় থাকার কথা সেটি হয়নি। আশা করি এবার হবে। অনেকগুলো পরিকল্পনা নিয়ে আমরা এগিয়ে যেতে চাই। একটি বৈষম্যমুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উপহার দিতে আমরা পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বদ্ধ পরিকর। শিক্ষক সংকট নিরসনে এরই মধ্যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের পাঠদানে গতি ফিরছে। তিনি তার দুটো যোগ্যতাণ্ড অনুপ্রাণিত করার প্রবণতা এবং প্রতিশ্রুতিবদ্ধতাণ্ড কথা তুলে ধরে বলেন তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ বছররের শিক্ষকতা ও গবেষণা করার শিক্ষা ও অভিজ্ঞতার সবটুকু রাবিপ্রবি’র জন্য কাজে লাগাবেন। সামনের দিনে এ বিশ্ববিদ্যালয়কে আমাদের সবার বিশ্ববিদ্যালয় মনে করে আমরা সারা দেশের মানুষের কাছে শিক্ষা, গবেষণা ও সম্প্রীতির বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে তুলে ধরার জন্য কাজ করার অঙ্গীকার করেন। তিনি আরো বলেন, এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্রান্সফরমেশনাল ম্যানেজমেণ্ট ও লিডারশীপ দেখতে চাই, যেখানে আমারা সবাই লিডার। আমরা সবাই একাডেমিক লিডার হতে চাই। এটাই ট্রান্সফরমেশনাল লিডারশীপ- আমরা সবাই টীম মেম্বার। আমরা সবাই সবাইকে যেন একরকম ভাবতে পারি।
ভিসি বলেন, রাঙামাটির রুপ বৈচিত্রে ভরপুর সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশে রাবিপ্রবি স্থাপিত হয়েছে। সৌন্দর্য্যবর্ধন নতুন নতুন আইডিয়ায় রাবিপ্রবিকে সাজানো হবে। অবশ্যই জীববৈচিত্র রক্ষা করা হবে। আগামী এপ্রিল মাসে সায়েন্স কার্নিভাল ও ফেস্টিবল করা হবে। এতে দেশ সেরা প্রতিষ্ঠান প্রধানসহ নামীদামী শিক্ষকরা উপস্থিত থাকবেন। উৎসাহিত করতে এ অনুষ্ঠানে স্থানীয় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ রাঙামাটিবাসীকে সম্পৃত্ত করা হবে। এছাড়া এলামনাই এসোসিয়েশন গঠনের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। তিনি রাবিপ্রবিকে একটি উচ্চ শিক্ষার উচ্চমাত্রায় নিয়ে যাওয়ার যে পরিকল্পনা এতে সবার সহযোগিতা কামনা করেন। সাংবাদিকরা পাহাড় প্রকৃতির সৌন্দর্য বজায় রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো নির্মাণ, শিক্ষক সঙ্কট নিরসন, লোকবল নিয়োগ এবং শিক্ষার্থী ভর্তির বিষয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের স্থানীয়দের অগ্রাধিকার, বিশ্ববিদ্যালয়ের হলসমূহে র্যাগিং না-হওয়া প্রভৃতি বিষয়ে প্রস্তাব তুলে ধরেন।
মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন রাঙামাটি প্রেসক্লাব সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন রুবেল, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আল হক, দৈনিক গিরিদর্পন সম্পাদক একেএম মকছুদ আহমেদ, রিপোর্টার্স ইউনিটি সভাপতি সুশীল প্রসাদ চাকমা, জার্নালিস্ট নেটওয়ার্ক সভাপতি শান্তিময় চাকমা, সাধারণ সম্পাদক ফাতেমা জান্নাত মুমু, সাংবাদিক মো. আলী, এসএম সামশুল আলম, মো. সোলায়মান প্রমুখ।
সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি অনুষদের ডীন ও কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ধীমান শর্মা, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডীন ও ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সূচনা আখতার, প্রক্টর ও ফরেস্ট্রি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাদ্দাম হোসেন, ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান মোহনা বিশ্বাস, ফরেস্ট্রি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স বিভাগের চেয়ারম্যান সহকারী অধ্যাপক ড. নিখিল চাকমা, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান সহকারী অধ্যাপক মোসা. হাবিবা, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) আবদুল গফুর এবং জনসংযোগ দপ্তরের উপ-পরিচালক সাইফুল আলমসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের অনায়ন্য শিক্ষক ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।