চুয়াডাঙ্গা কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগীয় কর্মকর্তার কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত মঙ্গলবার দুপুরে দুর্নীতি দমন কমিশন ঝিনাইদহ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক বজলুর রহমানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি টিম আকস্মিকভাবে এ অভিযান চালায়। অভিযান সূত্রে জানা গেছে, সুনির্দিষ্ট আর্থিক অভিযোগের ভিত্তিতে চুয়াডাঙ্গা কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগীয় কর্মকর্তার কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। এ সময় সেখানকার কর্মকর্তাদের জেরা করেন দুদক সদস্যরা। যাচাই করা হয় খাতাপত্রের লেনদেন। এর পর চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের তথ্য সংগ্রহ করে দুদকের আভিযানিক দল। ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কী পরিমাণ ভ্যাট আদায় করা হচ্ছে সেই তথ্য সংগ্রহ করা হয়। কাস্টমস অফিস কর্তৃক হয়রানির অভিযোগ করেছেন তারা। দুর্নীতি দমন কমিশন ঝিনাইদহ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক খালিদ মাহমুদ বলেন (সিংক), আমরা রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করেছি। সেগুলো পর্যালোচনা ও তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এর আগে, গত ৬ জানুয়ারি চুয়াডাঙ্গা বঙ্গ পিভিসি পাইপ ফ্যাক্টরিতে অভিযান চালায় যশোর কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের একটি প্রতিনিধি দল। সেখানে ৫০ লাখ টাকা ঘুষ না দেয়ায় প্রতিষ্ঠানটির মালিক সেলিম আহম্মেদকে মারধরের অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনার পর দোষীদের শাস্তির দাবিতে আন্দোলনে নামে চুয়াডাঙ্গার ব্যবসায়ীরা।