নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে ভিসা প্রতারণার ফাঁদে পড়ে প্রতারণার শিকার হয়েছেন নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বাবনী বাজারের বাসিন্দা আবুল খায়েরের ছেলে নুর হোসেন। এনিয়ে গত ২২ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী। পরে থানা থেকে প্রতারকের বাড়িতে গেলে প্রতারকসহ তার পরিবারের লোকজন বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয় ইউপি সদস্য ও স্থানীয় লোকজন বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ৪ মাস পূর্বে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পাড়ার আমজাদ হোসেনের ছেলে প্রতারক ফুলবাবুর সঙ্গে ফেসবুকে কানাডা যাওয়ার এক লোভনীয় বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে পরিচয় হয় নুর হোসেনের। সেখান থেকে ইমো ও হোয়াটঅ্যাপসের মাধ্যমে চলে কথোপকথন। প্রতারক ফুলবাবু কানাডায় থাকে এবং সেখানে তার একটি কোম্পানি আছে, অনেক বাংলাদেশিকে কানাডায় নিয়ে এসেছেন এবং ভুক্তভোগীকে কানাডায় নিয়ে আসবে বলে জানান। এবং ভিসা দেয়ার কথা বলে ১৫ লক্ষ টাকা দাবি করেন। ১০ লাখ টাকা আগে দিতে হবে এবং অবশিষ্ট টাকা ভিসা হাতে পাওয়ার পরে। ভুক্তভোগী নুর হোসেন সরল বিশ্বাসে প্রতারকের ৫টি মোবাইল নাম্বারে বিকাশে পর্যায়ক্রমে ১২ লাখ ২০ হাজার টাকা পাঠান। এর পরে প্রতারক ফুলবাবু ভুক্তভোগীকে একটি ভুয়া ওয়ার্কপারমিট প্রদান করেন। ভুক্তভোগী প্রতারকের কাছে ভিসা চাইলে প্রতারক বলেন- আগে সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ করতে তারপরে ভিসা। প্রতারকের এমন কথায় ভুক্তভোগী বুঝতে পারেন- তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন। এ পরিস্থিতিতে গত ২২ জানুয়ারি প্রতারকের বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী। ৪নং বাহাগিলী ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য স্বপন রানা বলেন, আমরা স্থানীয়ভাবে বসে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেছি কিন্তু সমাধান হয়নি।