সহকর্মীকে মারধরের অভিযোগ ছয় শিক্ষকের বিরুদ্ধে
প্রকাশ : ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
রাজবাড়ী প্রতিনিধি
রাজবাড়ীর পাংশায় স্কাউটিং কাউন্সিল নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ১০৯নং চরলক্ষ্মীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুল মালেককে ছয়জন শিক্ষক মিলে মারধর করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার এ ঘটনার বিচার চেয়ে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক ও জেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষক আব্দুল মালেক।
এসময় তিনি জানান, গত ১৬ জানুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে পাট্রাজোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খায়রুল ইসলাম তাকে কাব স্কাউটিং কাউন্সিল নির্বাচনের বিষয়ে জরুরি আলোচনা করার কথা বলে পাংশা শহরের মালেক প্লাজার ভেতরে ডেকে নেন। সেখানে উপস্থিত হলে শিক্ষক খায়রুল ইসলামসহ ধানুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শাজাহানুল হক, রুপিয়াট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কাজী শামসুল হক, নিশ্চিন্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আমিরুল ইসলাম, কসবামাজাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রাশেদুর রহমান, কবি নজরুল ইসলাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন সব শিক্ষক মিলে তাকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি, স্কেল ও লাঠি দিয়ে আঘাত করতে থাকেন। ঘটনার আকস্মিকতায় তিনি হতবিহবল হয়ে পড়েন। মারধরের সময় তার পকেট থাকা ৫,২০০ টাকা ছিনিয়ে নেয়া হয় এবং তার জ্যাকেট ছিঁড়ে ফেলা হয়। আহত অবস্থায় তার মেজ ভাই আব্দুল খালেক মণ্ডল তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যান। তিনি আরো বলেন, প্রহারকারী শিক্ষকদের কারণে পাংশা উপজেলায় মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায় বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। আমি এর সঠিক বিচার চাই। অভিযুক্ত পাট্রাজোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খায়রুল ইসলাম বলেন, ধাক্কাধাক্কি হয়েছে তবে মারধরের বিষয়ে নিশ্চিত নই। তবে পরে এক নেতা ঘটনাটি মীমাংসা করে দিয়েছেন।
অভিযুক্ত ধানুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শাজাহানুল হকও মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করলেও বিষয়টি মীমাংসা হয়েছে, পরে আমরা একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করেছি বলে জানান। অন্যদিকে অভিযুক্ত রুপিয়াট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কাজী শামসুল হক ঘটনাস্থলে ছিলেন না বলে দাবি করেন। অভিযুক্ত নিশ্চিন্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আমিরুল ইসলাম বলেন, ওইখানে মারামারি হয়নি, আগে বিরোধ ছিল, তাই মীমাংসা করা হয়েছে। কসবামাজাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রাশেদুর রহমান বলেন, আমি প্রতিদিনই স্কুল শেষে পাংশা শহরে ঘুরতে যাই। ওইখানে মালেক ভাই উত্তেজিত হলে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। কবি নজরুল ইসলাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন বলেন, গত ১৩ জানুয়ারি মালেক প্লাজায় স্কাউটিং কমিটি নিয়ে বসা হয়। সেখানে উত্তেজিত হয়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে বলে স্বীকার করেন। পাংশা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম আবু দারদা বলেন, বিষয়টি এখনো আমার জানা নেই। তবে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।