কৃষিতে আধুনিক যন্ত্রের ব্যবহার বৃদ্ধি, শ্রমিক সংকট নিরসন, সময় অপচয়রোধ ও অতিরিক্ত খরচ রোধে ঠাকুরগাঁওয়ে সমলয় পদ্ধতিতে বোরো ধান চাষাবাদের উদ্বোধন করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার সকালে সদর উপজেলার গড়েয়া ইউনিয়নের লস্কারা চৌধুরী পাড়া গ্রামের মাঠে রাইসপ্লান্টারের মাধ্যমে জমিতে ধানের চারা রোপণ করে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। এ উপলক্ষে আয়োজিত কৃষক সমাবেশে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা। বিশেষ অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খাইরুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা শামীমা নাজনীন, অতিরিক্ত উপ-পরিচালক শস্য আলমগীর কবির, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাসিরুল আলম, স্থানীয় কৃষক পলাশ সাহা প্রমুখ। আয়োজকরা জানান, সরকারিভাবে কৃষি প্রণোদনার আওতায় লষ্কারা গ্রামের ৪৪ জন কৃষকের ৫০ একর বা ১৫০ বিঘা জমিতে সমলয় পদ্ধতিতে চাষাবাদ করা হচ্ছে। এর ফলে, ভিন্ন সময়ে ফসল রোপণের কারণে ফসলের রোগ পোকামাকড়ের নানা জটিল বিরম্বনা দূর হবে এবং একই সময়ে আবাদের সময় যে কোনো বিপদে একযোগে কাজ করে সহজেই মোকাবেলা করতে পারবেন। এই পদ্ধতিতে বীজতলা ও ধানের চারা রোপণে ব্যবহার করা হচ্ছে আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি।
ফলে জেলার কৃষিতে খুলছে এক নতুন দুয়ার। নাসিরুল আলম, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা। তিনি আরও জানান, প্রচলিত রীতিতে বীজতলা তৈরি না করে জমি ও সময় অপচয়রোধে কৃষি যান্ত্রিকীকরণের যুগোপযোগী পদ্ধতি হচ্ছে ‘সমলয়’ চাষ। স্বল্প জমিতে প্লাস্টিকের ফ্রেম বা ট্রেতে লাগানো যায় ধানের বীজ। ২০ থেকে ২৫ দিনের মধ্যে চারা হয়। রাইস ট্রান্সপ্ল্যান্টারের মাধ্যমে ধানের চারা রোপণ করলে সময় কম লাগবে। এছাড়া ধান পাকলে সেই ধান যন্ত্রের সাহায্যে কেটেও দেবে কৃষি বিভাগ।