ঢাকা রোববার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৪ বৈশাখ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

সড়কের সংস্কার কাজ বন্ধ, চার গ্রামবাসীর চলাচলে দুর্ভোগ

সড়কের সংস্কার কাজ বন্ধ, চার গ্রামবাসীর চলাচলে দুর্ভোগ

কুমিল্লার তিতাসে উলুকান্দি থেকে কালাইগোবিন্দপুর সড়কের রাস্তা পাকাকরণের কাজ শুরু করে উধাও ঠিকাদার। রাস্তার সংস্কারের বক্স কাটিংয়ের পর প্রায় ৬ মাস অতিবাহিত হলেও কাজের কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় চার গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষকে বাতাকান্দি বাজারে যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। প্রায় ৫ কিলোমিটার ঘুরে ওই চার গ্রামের লোকজনকে উপজেলার বৃহত্তর বাতাকান্দি বাজারে ব্যবসা-বাণিজ্য ও কেনাকাটার জন্য যেতে হচ্ছে। সরেজমিনে দেখা যায়, মাছিমপুর-আসমানিয়া সড়কের বাতাকান্দি বাজারের পূর্বপাশে নির্মাণাধীন সেতুর পাস থেকে উলুকান্দি দক্ষিণপাড়া পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তা রয়েছে। উক্ত রাস্তার প্রায় ১২শ মিটার সড়কের বক্স কাটা হয়েছে। কিছু কিছু অংশে কংক্রিটের স্তপ দেখা যায়। বক্স কাটা রাস্তার মাঝে মাঝে ইটের স্তপ থাকায় সড়কটি দিয়ে কোন যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। অনেক জায়গা রাস্তার আশপাশের বাড়ির ব্যবহৃত পানি জমে আছে। বৃষ্টির পানিতে অনেক জায়গা ভেঙে গেছে। বক্স কাটার পর ১০ইঞ্চি উচ্চতায় বালি ফেলার কথা থাকলেও কোথাও তার অস্তীত্ব দেখা যায়নি। উপজেলা প্রকৌশলী অফিস সূত্রে জানা যায়, বলরামপুর ইউনিয়নের উলুকাান্দি থেকে কালাইগোবিন্দপুর সড়কের পাকাকরণের ১২শ মিটার রাস্তা নির্মাণ কাজের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়। মেসার্স জিরু ইনফিনিটিভ কোম্পানি ১ কোটি ২৫ লাখ ৯৪ হাজার ৮১৪ টাকায় এই কাজটি পায়। ২০২৩ সালের ২৮ নভেম্বর কাজের কার্যাদেশ দেয়া হয়। যার মেয়াদ ছিল ২০২৪ সালের ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত। নির্ধারিত সময়ের দুই মাস অতিবাহিত হয়েছে। উলুকান্দি গ্রামের হযরত আলী ও রাসেল আহমেদ জানান, বাতাকান্দি বাজারে উলুকান্দি, দক্ষিণ শ্রী নারায়নকান্দি, উত্তর শ্রী নারায়নকান্দি ও কালাইগোবিন্দপুর গ্রামের অধিকাংশ লোকের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বিশেষ করে এ এলাকার লোকজন বাতাকান্দি বাজারের ওপর নির্ভরশীল। তাই প্রতিদিন আমাদের যাতায়াত করতে হয়। রাস্তাটির সংস্কার কাজ বন্ধ থাকায় আমরা গাজীপুর বাস স্টেশন হয়ে প্রায় ৫ কিলোমিটার ঘুরে বাতাকান্দি বাজারে আসতে হয়। এতে অতিরিক্ত সময় ও টাকা ব্যয় হচ্ছে। শ্রী নারায়নকান্দির প্রবাস ফেরত আব্দুল লতিফ বলেন, বাতাকান্দি বাজারে ভালো প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডাক্তার আছে। রাস্তাটি বন্ধ থাকায় রোগীদের অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। মালামাল পরিবহনের ক্ষেত্রে অতিক্তি টাকা ব্যয় হচ্ছে। মেসার্স জিরু ইনফিনিটিভ কোম্পানির সত্ত্বাধিকারী নজরুল ইসলাম শুভ বলেন, এই রাস্তার ফান্ড না থাকায় কাজটি করতে পারছি না। শুনেছি মন্ত্রণালয় থেকে দ্রুত ফান্ড ছাড় হবে। ফান্ড আসলে আশা করি কাজটি শুরু করতে পারবো। উপজেলা প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম জানান, মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য ঠিকাদার আবেদন করেছে। সিডিউল অনুযায়ী ঠিকাদারকে অবশ্যয় কাজ করতে হবে। কাজটি শুরুর প্রথম দিকে ফান্ডে সমস্যা ছিল, তবে এখন কোনো সমস্যা নেই। ঠিকাদারের সঙ্গে মিটিং করেছি শিগগিরই কাজটি শুরু হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত