ঢাকা সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

শীতের পোশাক কেনায় নিম্ন-মধ্যবিত্তের ভরসা ফুটপাত

শীতের পোশাক কেনায় নিম্ন-মধ্যবিত্তের ভরসা ফুটপাত

মুন্সীগঞ্জ শহরে শীতে গরম কাপড় ফুটপাতই একমাত্র ভরসা হয়ে উঠেছে মধ্যবিত্ত ও নিম্নআয়ের মানুষের। নিম্নআয়ের মানুষ ও মধ্যবিত্তরা শীতের গরম কাপড় কিনতে ফুটপাতে ছুটে যান। অর্থনৈতিক কারণে তারা সহসা বিলাস বহুল শপিং মলে যেতে পারেন না। তাই তাদের পছন্দের জায়গা হচ্ছে ফুটপাত। গত নভেম্বর থেকে শীতের দাপট কম বেশির মধ্যে তাপমাত্রা উঠানামা করছে। মাঝে কয়েকটি শৈত্য প্রবাহ অতিবাহিত হয়েছে। তবে মাঘ মাসের ২য় সপ্তাহ চললেও এর মধ্যে আরো একটি শৈত্য প্রবাহ দেখা দেয়ার সম্ভবনা রয়েছে। এর মধ্যে সন্ধ্যার পর থেকে সকাল ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত অনেকটাই শীত অনুভূত হচ্ছে। আবহাওয়াবিদদের মতে এ শীতের প্রবাহ ফেব্রুয়ারি শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত চলার সম্ভাবনা রয়েছে। মাঝে মাঝে শীতের তীব্রতা বেড়ে গেলে মানুষজন ছুটে যান কম দামে শীতের কাপড় কিনতে ফুটপাতে। সেখানে ১০০ টাকা থেকে ১০০০ টাকা দামের নানা রকমের গমর কাপড় পাওয়া যায়। যে যার সাধ্যমতো সেখান থেকে গরম কাপড় কিনে নেন। শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে জেলা শহরের ফুটপাতে বেড়েছে গরম কাপড় বিক্রি। সকাল থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত শহরের গুরুত্বপূর্ণ একাধিক মোড়ের ফুটপাতগুলো মুখর থাকছে ক্রেতা বিক্রেতাদের হাঁকডাকে। শহরের কাচারীঘাট থেকে পুরাতন বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত ফুটপাতের এ সব কাপড়ের দোকানে ভিড় করছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। শীত নিবারণে অল্প টাকায় গরম কাপড় কেনার ক্ষেত্রে এ দরিদ্র ও স্বল্প আয়ের মানুষের আশ্রয়স্থল ফুটপাতের এ সব অস্থায়ী কাপড়ের দোকানগুলো। শহরের হাসপাতাল রোডে ভ্যান গাড়িতে করে শীতের গরম কাপড় বিক্রি করতে দেখা যাচ্ছে হকারদেরকে। এবার শীতের শুরুতেই অনেকে মৌসুমী ব্যবসায়ী গরম কাপড় সংগ্রহ করেছেন। বছরের এ সময়টাতেই তাদের বেচা বিক্রি সবচেয়ে বেশি হয়। তাই এবছর শীতের তীব্রতা অনুভূত হওয়ার আগেই ঢাকার বিভিন্ন মার্কেট থেকে তারা পুরাতন গরম কাপড় বিক্রির জন্য সংগ্রহ করেছেন।

এ বছর হুডি, এয়ারপ্রুফ ও ডেনিমের জ্যাকেট, কোট ব্লেজার, বাচ্চাদের পোশাক, সোয়েটার, হাত মোজা, পা মোজা, কানটুপি, ট্রাউজার, নারীদের কার্ডিগান, লং কোট, কম্বল ও উলের চাদরের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। শহরের থানার মোড় ও সুপার মার্কেটের প্রাঙ্গণে ভ্যানে করেও গরম কাপড় বিক্রি করছেন ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীরা। দাম কম ও মানে ভালো হওয়ায় সেখান থেকেও নিজেদের পছন্দমতো গরম কাপড় কিনতে ভিড় করেছেন ক্রেতারা। গতবারের চেয়ে এবার শীতের প্রভাব আগেভাগেই পড়েছে। মৌসুমের শুরু থেকেই দাপট দেখাচ্ছে কনকনে শীত।

তাই গরম কাপড়ের চাহিদা বেশি। অভিজাত মার্কেটগুলোতে কাপড়ের দাম বেশি হওয়ায় ভ্যান ও ফুটপাত থেকেই প্রয়োজনীয় গরম কাপড় ক্রয় করছেন নিম্ন আয়ের মানুষ ছাড়াও নিম্ন-মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্তরা। এবার বড়দের কাপড়ের পাশাপাশি শিশুদের শীতের পোশাকের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। মুন্সীগঞ্জ শহরের সুপারমার্কেট সংলগ্ন হকার্স পাতাল মার্কেটের গরম কাপড়ের ব্যবসায়ী হারুন অর রশিদ বলেন শহরের অভিজাত মার্কেটের চেয়ে হকার্স মার্কেট অথবা ফুতপাত থেকে কেনা কাটা করতে পছন্দ করেন নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ তার কারণ ফুতপাত থেকে কমদামে গরম কাপড় পাচ্ছে অপরদিকে শহরের সুপারমার্কেটে অবস্থিত ওএস ফ্যাশনের পোশাক বিক্রেতা রিফাত জানান, মার্কেটে নানা বয়সী মানুষের যে গরম কাপড়ের দোকান রয়েছে সেখানে মান সম্মত বিভিন্ন ব্যান্ডের গরমকাপড়সহ সব ধরনের পোশাক থাকে ঐ পোশাকগুলোর দাম একটু বেশি তাই এই ধরনের পোশাকের ক্রেতা সাধারণত উচ্চ বিত্ত ও মধ্যবিত্তরা তাদের টার্গেট করেই আমরা পোশাক সরবরাহ করি। এছাড়া এই মার্কেট থেকে অনলাইনে বেচা বিক্রি হয়ে থাকে। দাম বেশি হওয়ায় নিম্নমধ্য আয়ের মানুষ মার্কেট থেকে কেনা কাটা কম করে ফুতপাতে কেনাকাটা করতে বেশি যায়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত