গাজীপুরের কাপাসিয়ায় নিখোঁজের ১ দিন পর বসতবাড়ির পেছনে শীতলক্ষ্যা নদীর পার থেকে ছয় বছর বয়সী শিশু সিফাতের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। গতকাল বুধবার ভোর ছয়টার দিকে কাপাসিয়া মধ্যপাড়া এলাকার শীতলক্ষ্যা নদীর পারে বালুর গদির পাশে একটি নির্জন জঙ্গলে স্থানীয়রা শিশু সিফাতে লাশ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দিয়েছে বলে পুলিশ জানায়। জানা যায়, নিহত শিশু সিফাত (৬) কাপাসিয়া উপজেলার দস্যুনারায়নপুর গ্রামের বড়টেক এলাকার সোহাগ হোসেনের ছেলে। সে গত ২৮ জানুয়ারি মঙ্গলবার কাপাসিয়া মধ্যপাড়া নানা বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে দুপুর দেড়টার দিকে নিখোঁজ হয়। এ সময় তার পড়নে জিন্সের গঞ্জি প্যান্ট ও গায়ে হলুদ রঙের পরিহিত ছিল। অনেক খোঁজাখুঁজি করে সিফাতের সন্ধান না পেয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে কাপাসিয়া থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়েছিল। তবে তার কোনো খোঁজ মেলেনি।
স্থানীয়দের ধারণা, গত মঙ্গলবার বেলা দেড়টার দিকে নানাবাড়ি থেকে শিশু সিফাত নিখোঁজের সংবাদটি দ্রুত ফেসবুকে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ায় অপহরণকারিরা রাতের কোনো এক ফাঁকে রিফাতকে গলায় প্লাস্টিকের রশি লাগিয়ে হত্যা করে এবং একটি প্লাস্টিকের বস্তায় বড়ে শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ে বালুর গদির পাশে একটি নির্জন জঙ্গলে বস্তাবন্দি অবস্থায় সিফাতের লাশ ফেলে গেছে। কাপাসিয়া থানার ওসি কামাল হোসেন বলেন, মঙ্গলবার সিফাত নিখোঁজের একটি ডায়েরি থানায় করা হয়েছিল। শিশু সিফাতের ঘাড়ের ডান পাশে একটি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তদন্ত চলছে, দ্রুতই দোষীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে। সিফাতের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন।