ঢাকা ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৭ ফাল্গুন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

এক বাঁশের সাঁকোতে ২১ গ্রামবাসীর পারাপার

এক বাঁশের সাঁকোতে ২১ গ্রামবাসীর পারাপার

বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার চাঁপাপুর-পারঘাটা এলাকায় নাগর নদীর উপর বাঁশের তৈরি নড়বড়ে সাঁকোয় ২১ গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র ভরসা। স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও এখানে একটি সেতু নির্মিত না হওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে এই সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন স্কুল ও কলেজগামী ছাত্র-ছাত্রীসহ শতশত মানুষ ও ধান সবজি নিয়ে ঝুঁকিতে পারাপার করতে হচ্ছে। ফলে ওইসব গ্রামবাসী দেশের বিভিন্ন স্থানে যোগাযোগ রক্ষা ও মালামাল বহনের ক্ষেত্রে নানা দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।

চাঁপাপুরে এই নাগর নদীর উপর বাঁশের সাঁকোর বদলে সেতু নির্মাণের দাবি জানান ভুক্তভোগীরা। জানা যায়, বগুড়া জেলার আদমদীঘি উপজেলার চাঁপাপুর সদর ও দক্ষিণ এলাকা কয়েকটি গ্রাম এবং নন্দীগ্রাম উপজেলার পারশন, জামালপুর, বনগ্রাম, ইরিহারা বাঁশোগ্রামসহ প্রায় ২১ গ্রামের স্কুল ও কলেজগামী ছাত্র-ছাত্রীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষের ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র ভরসা আদমদীঘির চাঁপাপুরে নাগর নদীর উপড় চাঁপাপুর-পারঘাটা বাঁশের তৈরি নড়বড়ে বাঁশের সাঁকোটি। স্থানীয় জনতা প্রতি বছরই নিজস্ব অর্থে চাঁপাপুর-পারঘাটায় নাগর নদীর উপর বাঁশ দিয়ে এই সাঁকো মেরামত করে পারাপারের ব্যবস্থা করে থাকেন।

চাঁপাপুর বাজারের ব্যবসায়ী হাবিজার রহমান মন্টু জানান, এই পারঘাটায় অবস্থিত দীর্ঘদিনের পুরাতন বাঁশের তৈরি সাঁকোটির স্থানে একটি ব্রিজ নির্মাণের জন্য জনপ্রতিনিধিদের কাছে দাবি জানিয়ে আসলেও দেশ স্বাধীনের প্রায় ৫৩ বছর হলেও এখানে একটি ব্রিজ নির্মাণ হয়নি। আদমদীঘি ও নন্দীগ্রামের দুই উপজেলার প্রায় ২১টি গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র ভরসা বাঁশের এই সাঁকো। চাঁপাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন হিটলু জানান, বাঁশের তৈরি নড়বড়ে ওই সাঁকো দিয়ে ঝুঁকির মধ্যে এলাকাবাসীদের পারাপার হতে হয়। এলাকার উন্নয়ন আর জনগণের দুর্ভোগ কমাতে বাঁশের সাঁকোর স্থানে দ্রুত একটি সেতু বা ব্রিজ নির্মাণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত